
The Truth of Bengal: এখন তিনি বনমন্ত্রী। সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আগের মন্ত্রিত্বের সময়কালে দুর্নীতি নিয়ে এখন জোর চর্চা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যিনি রাজনৈতিক মহলে বালু নামে বেশি পরিচিত। দলীয় রাজনীতিতে তিনি বেশ প্রভাবশালী বলে পরিচিত ছিলেন। তবে একদিনে তিনি এই জায়গায় আসেননি। সিপিএমের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করতেন। দক্ষ সংগঠক হিসেবে রাজনীতিতে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে আজ তাঁর এমন উত্থান। স্বাভাবিক ভাবে তাঁর গ্রেফতারিতে রাজ্য রাজনীতিতে এখন জোর চর্চা চলছে।আইনের ছাত্র জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তৃণমূলের একেবারে প্রথম দিনের সৈনিক। দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি আছেন। ছাত্র আন্দোলনের সময় কখনও ধাক্কা খেয়েছেন, কখনও কোণঠাসা হয়েছেন।
তবুও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি।জ্যোতিপ্রিয়র জন্ম বর্ধমানের মন্তেশ্বরে। বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তবে মন্তেশ্বরে থাকতেন না বালু। কলকাতায় তাদের পাঁচ ভাইয়ের বেড়ে ওঠা। তাঁর স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক। ১৯৮৬ সালে বালুর বিয়ে হয়। একমাত্র সন্তান প্রিয়দর্শিনী মল্লিক এখন উচ্চশিক্ষা সংসদের সচিব। বালুর এক দাদা স্বাধীন মল্লিক মোহনবাগান ক্লাবের কর্তা। আর এক দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক পরিচিত চিকিৎসক। অন্য দুই ভাইও প্রতিষ্ঠিত। এককথায় বর্ধিষ্ণু পরিবারের সন্তান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কংগ্রেস আমলে যুক্ত হয়েছিলেন রাজনীতিতে।দক্ষ সংগঠক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হাবড়া আসন থেকে নির্বাচিত হন।
হন খাদ্যমন্ত্রী। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও হাবড়া থেকে জিতেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। সে বারও তাঁকে খাদ্যমন্ত্রী করা হয়। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল করলে তাঁকে আর খাদ্যমন্ত্রী করেনি দল। বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয় বন দফতরের। জ্যোতিপ্রিয়র সেই যে উত্থান তা অব্যাহত ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ যতদিন তিনি খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন।রেশন দুর্নীতির তদন্তে বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হতেই সামনে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। সেই তদন্তের সূত্রে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সামনে আসছে তাঁর কোটি কোটি টাকার ব্যঙ্ক ব্যালান্স। বহু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি। রেশনে দুর্নীতি করে জ্যোতিপ্রিয় এত সম্পদশালী হয়েছেন বলে দাবি ইডি-র।
Free Acces