কলকাতা

“বাংলার মেধার গুরুত্ব আছে বলেই তাদের বাইরে এত চাহিদা”

Firhad Hakim

The Truth Of Bengal: নির্মাণশ্রমিক সহ আইটি ক্ষেত্র— রাজ্যের বাইরে বাংলার মেধার গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁদের বেশিরভাগ এই রাজ্যে কাজ করলেও অনেকেই একটু বেশি আয়ের আশায় বাইরে কাজ করতে যান। কেন তাঁরা বাইরে যাবেন? এই প্রশ্ন তুলে সরকারকে নিশানা করে বিরোধীরা। যা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, বাংলার মেধার গুরুত্ব আছে বলেই তাদের বাইরে এত চাহিদা। কিন্তু, বিরোধীরা গর্বিত হয় না বাংলার মেধার উৎকর্ষতা নিয়ে। নির্মাণ শ্রমিক হোক বা অন্য কোনও ক্ষেত্র– বাংলার শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা অন্য রাজ্যে। শুধু তাই নয় বিদেশেও তাদের চাহিদা কম নেই। শুধু শ্রমিক নন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলার মেধারও ব্যাপক চাহিদা বাইরে। বাংলার শ্রমিকরা কেন বাইরে যাবেন, এই প্রশ্ন তুলে সরকারকে সমালোচনা করে বিরোধীরা। কিন্তু, তাঁরা এটা বলেন না যে কেন বাংলার শ্রমিকের এত চাহিদা বাইরে?

এরপর ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটু বেশি পয়সার আশায় অনেকেই বাইরে যান। শুধু বাঙালিরা যে বাইরে যান তা নয়। অন্য রাজ্য থেকেও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষ অনেক শ্রমিক আবার এই রাজ্যে আসেন কাজ করতে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অথচ, এই রাজ্যের শ্রমিকরা কেন বাইরে যাচ্ছেন, শুধু এই অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তাদের একটাই লক্ষ্য যে কোনও ভাবে সরকারকে হেয় করা। তাদের এটা জানা নেই যে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই সহ একাধিক শহরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেন প্রচুর ভারতীয়। তাদের মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি। কেন ভারত ছেড়ে তাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন? এই প্রশ্ন তোলে না বিরোধীরা। শুধু রাজ্যের বেলায় সরকারকে নিশানা করতে পরিযায়ী শ্রমিকরা কেন বাইরে যাচ্ছেন, এই প্রশ্ন তোলা হয়।”

এই রাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার নির্মাণ শ্রমিক বা রাজমিস্ত্রিদের দক্ষতা অজানা নয় কারও। তাঁরা রাজ্যে যেমন কাজ করেন আবার ভিনরাজ্যেও কাজ করতে যান। কয়েকদিন আগে মিজোরামে রেলসেতু নিমাণের কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল মালদার ২৪ জন শ্রমিকের। এই ঘটনার পর আবার বিরোধীরা নিশানা করে সরকারকে। রাজ্যে কাজ নেই বলে ওই শ্রমিকরা বাইরে যাচ্ছেন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বাংলার শ্রমিকরা এই রাজ্যে যেমন কাজ করেন, তেমন বাইরে যান। বাইরে চাহিদা আছে বলেই তো তাঁরা বাইরে যান। অথচ নির্মাণক্ষেত্র, আইটি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলার শ্রমিক ও মেধার উৎকর্ষতার কথা বলেন না বিরোধীরা। অকারণে তাঁরা শুধু সরকারকে নিশানা করেন। বিরোধীদের সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

পরিযায়ী শ্রমিকের সুরক্ষায় দেশের মধ্যে প্রথম এই রাজ্যে বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে রাজ্য সরকার৷ ‘কর্মসাথী’ পরিযায়ী শ্রমিক পোর্টালে আছে যাবতীয় তথ্য। পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও বিমার জন্যও উদ্যোগ নিয়েছে এই সরকার। বাইরে কাজ করতে গিয়ে কোনও পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে সরকার দু’লক্ষ টাকা দেবে। আহত হলে মিলবে ৫০ হাজার দেওয়া হয়। রাজ্য সরকার নানা ভাবে পাশে থাকে বাইরে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিক সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের পেশাদারদের।

Related Articles