কলকাতা

ওসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, থানার সামনেই ধর্নায় মহিলা এসআই

Explosive allegations against OC, female SI sit in front of police station

Truth Of Bengal: থানার ব্যারাকের ঘড় ছাড়াকে কেন্দ্র করে খোদ থানার ওসির সাথে বচসা সংশ্লিষ্ট থানার মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের। থানার অফিসার ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে এবার থানার সামনেই ধরনায় বসলেন সেই থানার মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর। জোর করে বসে থাকা মহিলা এসআইকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় সেখানকার বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার নাদিয়াল থানায়।

জানা যায়, প্রায় দেড় বছর ধরে নাদিয়াল থানায় এক মহিলা সাব ইন্সপেক্টর আচমকাই আজ তার ব্যারাকে পরিবর্তন করতে যান। কিন্তু সে সময় তিনি দেখতে পান, তার রাখা সমস্ত আসবাবপত্র বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই নাদিয়াল থানার ওসির ঘরে তিনি গিয়ে গোটা বিষয়টি জানতে চান। কিন্তু সে সময় সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলা হয় তিনি থানায় এসে ঘুমিয়ে থাকেন তিনি থানার কোনো কাজ করেন না। এছাড়াও টিচার ইনচার্জ তাকে বলেন যে এটি থানার ব্যারাক আপনার ঘর নয়।

ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের অভিযোগ নাদিয়াল থানায় ১০ জন কনস্টেবল নতুন নিয়োগ হয়েছে। তাকে ওই ব্যারাক থেকে সরিয়ে ওই দশজন কনস্টেবল এর ওই বেড়াতে থাকার বন্দোবস্ত করেছেন ওই থানার অফিসার ইনচার্জ। এরপরই সংশ্লিষ্ট থানার বড়বাবুর সঙ্গে বচনসা বেধে যায় ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টরের। কথা কাটাকাটি হওয়ার পর ওই মহিলা সাব ইন্সপেক্টর মূল দরজার বাইরে ধরনায় বসে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ ধরে থানার বাইরে বসে থাকার ফলে সংশ্লিষ্ট থানা তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় লালবাজার এবং ডিসি(বন্দর)এর সাথে।

এরপরেই উপরে ওই মহিলা জোর করে পুলিশের গাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে আচমকাই তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তার চিৎকার চেঁচামেচি শুনে এলাকার লোকজন সেখানে জড়ো হয়। কার্যত অফিসার ইনচার্জ এর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। যদিও এই বিষয়ে কোন আধিকারিক কোন রকমের প্রতিক্রিয়া দেননি।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের আইন-শৃঙ্খলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, বেড়াতে থাকবেন এবং কোন অফিসার থাকবেন না তার সম্পূর্ণ বিচার বিশ্লেষণ করেন সংশ্লিষ্ট থানার বড়বাবু কিংবা অফিসার ইনচার্জ। তবে এখানে সঠিক কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যদিও এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

Related Articles