যত্রতত্র পানের পিক, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরও কড়া হচ্ছে পুরসভা
Drinking water is being sold everywhere, the municipality is getting stricter on the orders of the Chief Minister

Truth Of Bengal: শেখ এরশাদ: যেখানে-সেখানে পিক ফেলে দৃশ্য শোভা নষ্ট করার বদভ্যাস ঠেকাতে কড়া আইন আনছে রাজ্য সরকার। পান বা গুটখা ফেলে দৃশ্যদূষণ করার জন্য মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হতে পারে। প্রথমে হাজার টাকা পরে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। রাজ্য সরকার পান বা গুটখার পিক ফেলে তিলোত্তমার রূপ লাবণ্য নষ্ট করা বা নান্দিকতাকে কালিমালিপ্ত করার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে বিল আনছে।
এই শহর আমার-আপনার। সিটি অব জয়ের আনাচে কানাচে রয়েছে ইতিহাস। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, মিউজিয়াম, রবীন্দ্র সদন, নন্দনের মতোই নান্দনিক গুরুত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে হাজারও নিদর্শন। সেই স্থাপত্য বা হেরিটেজের সৌন্দর্য রক্ষা করার জন্য বাংলার সরকার নানা প্রয়াস নিয়েছে। এ ওয়ান সিটির সৌন্দর্যায়নের মাঝেই দৃশ্যদূষণের ঘটনা ব্যথিত করে শহরকে যাঁরা ভালবাসেন তাঁদের। রূপসী তিলোত্তমার সৌন্দর্যের রূপলাবণ্য ধরে রাখার মতোই যাতে কেউ বদভ্যাসের মাধ্যমে দৃশ্যশোভাকে বিনষ্ট না করতে পারে সেই জন্য রাজ্য বিধানসভায় বিল আনতে চায় রাজ্য সরকার। বাংলার সরকারের পথেই কলকাতা পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম শহরবাসীর উদ্দেশে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই শহরকে আরও দৃষ্টিনন্দন করার জন্য অনেক কিছু করেছেন। পরিচ্ছন্ন কলকাতা দেখে এখন অবাক হয় অনেকদিন পর শহরে ফেরা মানুষজন। সেই শহরকে এই ভাবে পানের পিকে অপরিচ্ছন্ন করা আটকাতে কড়া হতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম টক টু মেয়র অনুষ্ঠানের পর জানিয়ে দেন, প্রশাসন কঠোর আইন লাগু করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ‘মানুষকে জানানোর জন্য হরদিং লাগানো হচ্ছে বিভিন্ন ভাষায়। লেখা থাকবে আপনার শহরকে আপনি পরিষ্কার রাখুন। গাড়ি থেকে পানের পিক ফেলা আটকাতে এবার একটা অ্যামেন্ডমেন্ট আনা হবে। যেখানে গাড়ি থেকে পানের পিক ফেলা হলে এবার গাড়ির ওপরে যাতে ফাইন করা যায় তার জন্য এবার একটা অ্যামেন্ডমেন্ট আনছি।
গর্বের শহর কলকাতার শ্রী নষ্ট করার কাজ যেন কেউ না করে সেজন্য হোর্ডিংও দেওয়া হয়েছে। পান ও গুটখা ফেলে যাঁরা অবিবেচকের মতো কাজ করেন তাঁদের বোধোদয় ঘটানোর জন্য প্রচারেও বাড়তি ফোকাস করা হচ্ছে। শহরকে যাঁরা ভালোবাসেন সেইসব মানুষের মতে, সিভিক সেন্স বা নাগরিকরা যদি সংবেদনশীল হয় তা হলে আমরাই আমাদের প্রিয় শহরকে সুন্দর রাখতে পারি। শুধু আইন করে কোনও কিছু যে হবে না তাও মেনে নিচ্ছেন সচেতন মানুষ। নাগরিক মহলের মতে, বঙ্গ শিল্প-সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারা বহন করা গর্বের স্থাপত্যকে উজ্বলতায় ভরিয়ে রাখা যেমন আমাদের কর্তব্য তেমনই আবার সভ্যতার গর্বকে রক্ষা করার অঙ্গীকার আমাদেরই যে নিতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।