গতবছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গি প্রকোপ কম, রোগ মোকাবিলায় চলছে প্রচার
Dengue incidence is less this year than last year

The Truth of Bengal: গতবছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গি ৩৭শতাংশ কম। এবছর ১১২জন রোগী পাওয়া গিয়েছে। তবুও মশাবাহিত রোগ নির্মূল করতে সচেতনতার উদ্দেশ্যে চলছে প্রচার। একথা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবুও বর্ষার মরশুমে রোগের প্রকোপ কমাতে লাগাতার প্রচারে জোর দিচ্ছেন মহানাগরিক।
বর্ষার মরসুমে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। তাতে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে শহরে কী ডেঙ্গি থাবা গাড়তে পারে আবার। কারণ অল্প বৃষ্টিতে ডাবের খোলা, পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা টায়ার, ভাঙা ভাঁড় মশার আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। প্রশাসনিক স্তরে মশাবাহিত এই ব্যধি রোধ করতে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচার অভিযান চালানো হয় কলকাতা পুরপ্রশাসনের তরফ থেকে । কিন্ত তা সত্বেও প্রতি বছর বৃদ্ধি পায় ডেঙ্গুর প্রকোপ। তবে এবার শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ ৩৭শতাংশ কম।পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে স্পষ্ট করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । মেয়র পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেন, ২০২৩এ মহানগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৯জন। সেই সালের তুলনায় এবছর ২০২৪ সালের ৩০শে পর্যন্ত সামান্য কম১১২ জন। যা শতাংশের নিরিখে ৩৭%।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিষ্কার ভাষায় জানান মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। প্রশাসন অবশ্যই কাজ করবে। তবে মানুষ সচেতন না হলে ডেঙ্গির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন যত্রতত্র ডাব খেয়ে ফেলে দেওয়া, যেখানে সেখানে প্লাস্টিক প্যাকেটে নোংরা ফেলে রাখা, ভাঙ্গা ভাঁড় ফেলে রাখা। এই সমস্ত জয়গায়াতেই বৃষ্টির জল জমে ডেঙ্গুর লার্ভা জন্ম নেয়। তাই সবদিক থেকে পরিচ্ছন্নতায় জোর দেন মহানাগরিক নিজেও। মারণ রোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা আর প্রশাসনিক উদ্যোগকে প্রাধান্য দেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।