রাজ্যের প্রতিটি জেলায় আয়ুষ পরিষেবাকে সাজিয়ে তুলতে হবে, নির্দেশ নবান্নের
AYUSH services should be organized in every district of the state, directed Navanna

The Truth Of Bengal : নবান্ন তরফে আয়ুষ কতৃর্পক্ষের চিঠি পেয়েই জেলাশাসকদের নির্দেশ, সরকারি ডিসপেন্সারিতে আয়ুষ চিকিৎসকদের জন্য কম্পিউটার ও ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা করতে। তা না হলে আয়ুষ পোর্টালের সুবিধা তারা পাবেন না। অভিযোগ, আয়ুষ চিকিৎসকরা গ্রামাঞ্চলে এখনও পরিকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় রেজিস্ট্রারড আয়ুষ চিকিৎসকরা সক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামাঞ্চলে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করতে আয়ুষ চিকিৎসকদের জন্য ইতিমধ্যেই পোর্টাল চালু করেছে। এর সাহায্যে রোগীর সমস্যার কথা নথিভুক্ত করে চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। গ্রামে কর্মরত আয়ুষ চিকিৎসকদের কাছেও এই চিকিৎসার আপডেট পৌছে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি ডিসেপন্সারিতে রয়েছে কম্পিউটার, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায় আয়ুষ চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় পোর্টালকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহারই করতে পারছেন না। আয়ুষ কতৃর্পক্ষ এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের নজরে এনে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন। আয়ুষ পরিষেবা গ্রামাঞ্চলে পরিকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় ভালোভাবে চালু করা যাচ্ছে না বলে স্বীকার করে নিয়েছে নবান্ন। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কিছু জেলা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
নবান্ন সূত্রে জেলাশাসকদের জানানো হয়েছে, বিডিওদের এখনই নির্দেশ দিতে যাতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে আয়ুষ চিকিৎসকদের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা ও কম্পিউটারের উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যেখানে ১২৪০ জন চিকিৎসক সহ ১১৭৮টি সরকারি ডিসপেন্সারি খোলা হয়েছে। অথচ জেলাগুলিতে একটিও মডেল ক্লিনিক নেই। নীচুতলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উদাসীনতাই এর মূল কারন বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রামীন ক্লিনিকগুলিতে ৫৪৩ জন আয়ুষ চিকিৎসকদের ওপর নির্ভর করে নীচুতলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু রয়েছে। মাত্র ৫৮২টি ক্লিনিকে সাজানো রয়েছে কম্পিউটার কিন্তু কোনও ক্লিনিকেই ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। ক্লিনিকগুলিকে যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। প্রিন্টার পর্যন্ত নেই। হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, কোচিবহারের মতো সব জেলাতেই বহু ক্লিনিক রয়েছে। কিন্তু সেখানে আয়ুষ চিকিৎসকদের আলাদা বসার ঘর না থাকার কারনে রোগী দেখতে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। নবান্নের তরফে নির্দেশ, আয়ুস পরিষেবাকে সাজিয়ে তুলতে হবে।