উত্তপ্ত পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী, দাঙ্গায় নিহত ১৫, জারি হল ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা
A 14-day state of emergency is declared after riots kill 15 in the hot Papua New Guinea capital

The Truth Of Bengal: প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোর্সবিতে পুলিশ ও সরকারি চাকরিজীবীরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে পথে নামে। এরপরই রাজধানীতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ লোকজন সেখানকার বাড়িঘর, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দোকানপাট ভাঙচুর করেন। দাঙ্গায় ১৫ জন নিহত হন।
পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোর্সবিতে পুলিশ ও সরকারি চাকরিজীবীদের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র হল এই পাপুয়া নিউগিনি। বিক্ষোভ চলাকালিন রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। ক্ষুব্ধ লোকজন সেখানকার বাড়িঘর, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। দোকানপাট ভাঙচুর করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এর জের ধরে রাজধানী থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে লে শহরেও দাঙ্গা শুরু হয়। এসব সহিংসতা ও দাঙ্গায় ১৫ জন নিহত হন। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারেপ বলেছেন, ‘যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ব্যবস্থা নিতে’ এক হাজারের বেশি সৈন্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বেতন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এরপরই পুলিশ ও অন্য সরকারি কর্মচারিরা পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ ধর্মঘট শুরু করেন। যদিও কর্তৃপক্ষ বলেছে এটি ভুল বসত হয়েছে। আগে থেকেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের সংকটে ভুগছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারেপ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘আইন ভঙ্গ করে বিশেষ কিছু আদায় করা যায় না।’ যদিও সৈন্য মোতায়েনের পর ও পুলিশ পুনরায় কাজ শুরু করলে বিক্ষোভ দমন করা হয়। তারপরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এখনো উত্তেজনা’ রয়েছে। পোর্ট মোর্সবি জেনারেল হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে রাজধানীতে আটজন নিহত হয়েছেন। আর অন্য সাতজন দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লেতে নিহত হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, পুলিশের অনুপস্থিতিতে রাজধানীর উপকণ্ঠে লোকজন দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর পউস পার্কোপ রেডিওতে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘দেশে নজিরবিহীন দাঙ্গা দেখেছেন, এর আগে তাদের দেশ ও শহরের ইতিহাসে এ ধরনের কোনো কিছুই ঘটেনি। লুটপাট করছে ‘সুযোগসন্ধানীরা’। বিক্ষোভকারী কিছু পুলিশের দ্বারাও কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেতনের প্রসঙ্গে জেমস বলেন, কম্পিউটারের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। ভুলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছিল। পরের মাসের বেতনেই এই ভুল ঠিক করে দেওয়া হবে। তবে প্রেসিডেন্টের এই উত্তর অনেক বিক্ষোভকারীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, অনেকে পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর কম্পাউন্ডের বাইরে একটি গাড়িতে আগুন দেয়।
Free Access