দূষণ মোকাবিলায় রামদেবের ‘বিতর্কিত দাওয়াই’-এয়ার পিউরিফায়ার নয়, পর্দা লাগানোর পরামর্শ রামদেবের
তিনি দাবি করেছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা এবং ঘরের পর্দা ব্যবহার করলেই দূষণের প্রভাব কমানো সম্ভব, তাই এয়ার পিউরিফায়ারের দরকার নেই।
Truth Of Bengal: দিল্লি ও উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশের বাতাস এতটাই দূষিত হয়েছে যে অনেকেই বলছেন, তা যেন ‘গ্যাস চেম্বার’-এর মতো। শনিবারের এই পরিস্থিতিকে দেশের শেষ দশকে সবচেয়ে খারাপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় অভিনব এবং বিতর্কিত পরামর্শ দিয়েছেন যোগগুরু রামদেব। তিনি দাবি করেছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা এবং ঘরের পর্দা ব্যবহার করলেই দূষণের প্রভাব কমানো সম্ভব, তাই এয়ার পিউরিফায়ারের দরকার নেই।
রামদেব এ বিষয়ে বলেন, এয়ার পিউরিফায়ার শুধু ধনীদের ফ্যাশন, বাস্তব জীবনে তেমন প্রয়োজন নেই। শনিবার একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে তিনি সাধারণভাবে রোগ প্রতিরোধে যোগব্যায়ামের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, দূষণ এত বেশি থাকলে বাইরে ব্যায়াম কীভাবে করবেন। উত্তরে রামদেব বলেন, “দেশ এগোলে একটু ধুলো তো উড়বেই।”
তিনি আরও বলেন, রাজধানী অঞ্চলের বার্ষিক দূষণ পরিস্থিতি মাঝে মাঝে এত খারাপ হয়ে যায় যে তা কার্যত ‘গ্যাস চেম্বার’-এর মতো হয়। সমাধান হিসেবে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, ঘরে পর্দা টাঙান এবং ১৫–২০ দিন অন্তর মাস্ক পরে পর্দা ঝাড়ুন। এছাড়া, ঘরের ভিতরে বসে দীর্ঘ শ্বাসের ব্যায়াম, বিশেষ করে কপালভাতি করা, দূষণের প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তাঁর মন্তব্যের দিনই দিল্লি, নয়ডা এবং গোটা এনসিআর অঞ্চলে বাতাসের মান এতটাই খারাপ হয়েছিল যে সরকারকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের (GRAP) স্টেজ ৩ থেকে স্টেজ ৪ চালু করতে হয়েছে। রবিবার সকালেও পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। অনেক এলাকায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) প্রায় ৫০০-র কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ‘সিভিয়ার’-এরও উপরে।
এদিকে চিকিৎসকমহল থেকে বলা হচ্ছে, দিল্লির দূষণকে কোনও অবস্থাতেই ‘নরমাল’ ধরে নেওয়া উচিত নয়। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক চোপড়া ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়া দৈনন্দিন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ছোট ছোট অভ্যাসও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যচিত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডা. চোপড়া পরামর্শ দিয়েছেন, ঘরে গাছ রাখা, হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা এবং প্রয়োজন হলে এয়ার পিউরিফায়ার চালানো। এছাড়া, যখন AQI কম থাকে তখন শুধু বাইরে থেকে বাতাস ঢুকতে দেওয়া, বাইরে বেরোলে এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করা, শিশু ও প্রবীণদের ঘরের ভিতরে রাখা এবং ঘুমের সময় এয়ার পিউরিফায়ার চালানো উচিত।





