‘হেট ক্রাইম’ মুক্ত বাংলা, অপরাধের শীর্ষে তামিলনাড়ু, রিপোর্ট পেশ কেন্দ্রের
'Hate Crime' free Bengal, Tamil Nadu top in crime, report submitted by central

The Truth Of Bengal: বিজেপি সরকারের আমলে ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দেশে বিদ্বেষ উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।২০১৪তে যেখানে অপরাধের সংখ্যা ছিল ৩২৩,সেখানে ২০২০তে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০৪।ন্যাশানাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্যে আরও স্পষ্ট, অপরাধের শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ুও বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ,অসম।ধর্মীয় বিদ্বেষ মুক্ত একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ। এই রাজ্যের সামাজিক সংহতি ও সুসম্পর্কের ছবিটা আরও একবার স্পষ্ট হল বলে প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন।
ঘৃণাভাষণ নিয়ে বারবার সুপ্রিমকোর্ট দেশের সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে।কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি।বরং বিদ্বেষের বাতাবরণ বিজেপি সরকারের আমলে বাড়ছে।খোদ এনসিআরবির রিপোর্টেই এই ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে মেরুকরণবাদীদের দাপটের কথা উঠে এসেছে। অপরাধীদের ওপর নজরদারি ও স্বতঃপ্রণোদিত আইনি পদক্ষেপের নির্দেশও জারি করে শীর্ষ আদালত।কিন্তু আদালত-আর্ন্তজাতিক মানবধিকার সংগঠনগুলোর সতর্কবার্তা একেবারেই কাজ দিচ্ছে না।এনসিআরবির রিপোর্ট অনুযায়ী,ধর্মীয় বিদ্বেষের মাত্রা বেড়ে গেছে দারুণভাবে।সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প দূর করতে দেশজুড়ে যে জনমত গড়ে তোলা দরকার তাও স্পষ্ট হয়েছে, বলে সর্বস্তরের নাগরিকরাই মনে করছেন।দেখে নেব,জাতীয় স্তরে হিংসার প্রবণতা কতটা বেড়েছে।পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন,বিজেপি সরকারের আমলেই বিভাজনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায় সামাজিক সংহতি বিঘ্নিত হচ্ছে।সেখানে এই বাংলায় দুর্গাপুজো-ঈদ সম্প্রীতির আবহে পালন করা হয়।শান্তির বাংলাই এখন দেশের কাছে আদর্শ উদাহরণ হয়ে উঠেছে,তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন নাগরিকসমাজ।
- ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ধর্মীয় বিদ্বেষ বেড়েছে ৫০০শতাংশ
- ২০১৪তে অপরাধের সংখ্যা ৩২৩, ২০২০তে ১৮০৪
- হেট ক্রাইমে শীর্ষে তামিলনাড়ু , বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ,অসম
- সম্প্রতি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে
- ঘৃণাভাষণ ২ রাজ্যে প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে
- ২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশে ১০৮টি এই ঘটনা ঘটে
- মধ্যপ্রদেশে ঘৃণাভাষণের জন্য বিদ্বেষ বেড়েছে ১৯১ শতাংশ
- রাজস্থানে ঘৃণাভাষণের কারণে হিংসা বেড়েছে ১৩৮ শতাংশ
- সারা দেশে একমাত্র ধর্মীয় বিদ্বেষমুক্ত পশ্চিমবঙ্গ
কেন হিংসামুক্ত বাংলা ? সারা দেশের থেকে কেন ব্যতিক্রম এই পশ্চিমবঙ্গ ? প্রশাসনের কর্তারা মনে করছেন,এখানে ঘৃণা ভাষণ দিলে মামলা হয়,প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করে।নিরপেক্ষভাবে সামাজিক সংহতি রক্ষার কাজে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ কর্তারা। সৌহার্দ্রের এই পরম্পরা রক্ষায় বাংলার সরকারের ভূমিকা জাতীয় স্তরে প্রশংসিত হচ্ছে বলা যায়।
Free Access