ব্যস্ত গতিশীল জীবনযাপন কী মানসিক অবসাদের কারণ? কী বলছেন গবেষকরা
scientist comment on mental health

The Truth of Bengal,Mou Basu: ১০ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। আধুনিক ব্যস্ত গতিশীল জীবনযাপনকেই মানসিক অবসাদের অন্যতম কারণ বলে দায়ী করেছেন ৯০% ভারতীয়। একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পাবলিক অ্যাপ এই সমীক্ষা চালায়।
সমীক্ষায় ৫৫% মানুষ জানিয়েছে তারা নিজেদের পরিবার পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খোলাখুলি মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারে। সাড়ে ৪ লাখ মানুষের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। শারীরিক সমস্যা হলে মানুষ যতটা খোলামেলা আলোচনা করতে পারে মানসিক উদ্বেগ নিয়ে কথা বলতে পারত না। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই নাক সিঁটকানো ভাব কেটে যাচ্ছে। তবে আলোচনা করতে সহজ হলেও মাত্র ১৪.৬৬% মানুষ মেন্টাল থেরাপি বা কাউন্সেলিং করাতে ইচ্ছুক। মাত্র ১১% মানুষ সরকারি মেন্টাল হেল্থ রিহ্যাবিলিটেশন সংক্রান্ত হেল্পলাইন সম্পর্কে জানে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বীমা সম্পর্কে জানে ৫৩% মানুষ। ২০২২ সালে ইন্সুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সব বীমা সংস্থাকেই মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অর্থকরী দিকটিও পলিসিতে রাখা বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশ দেয়।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে অবসাদ, মানসিক উদ্বেগ আধুনিক জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে।
কী করে বুঝবেন মানসিক অবসাদে ভুগছেন –
১) সপ্তাহ দুয়েকের বেশি সময় ধরে মন খারাপ। কোনো কিছুই করতে ভালো না লাগা।
২) আগে স্বাভাবিক ভাবে যে কাজ করতে ভালো লাগত তাতে আর উৎসাহ না পাওয়া। ৩) অবসর সময় যে সব কাজ করতে ভালো লাগত সেই সব শখের বিষয় উৎসাহ হারানো।
৪) পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গ ভালো না লাগা, এড়িয়ে চলা।
৫) খাওয়া ও ঘুমের প্যাটার্নে বদল আসা।
৬) আচমকাই বেশি ঘুমোচ্ছেন অথবা চোখে ঘুমই আসছে না।
৭) সব সময় ক্লান্তি ভাব৷ আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
৮) আপনার কোনো মূল্য নেই সমাজ, সংসার বা কাজের জায়গায়, এমন মনে হওয়া
৯) মাথার যন্ত্রণা, পেটের যন্ত্রণা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা হওয়া।
১০) নিরন্তর উদ্বেগের মধ্যে থাকলে কাজে প্রচুর ভুল হওয়া। কাজে একাগ্রতায় ঘাটতি। খুব সাধারণ জিনিস মনে রাখতে না পারা।
Free Access