
The Truth of Bengal,Mou Basu: উৎসবের মরসুমে বাজারে গেলেই প্রায়সই চোখে পড়বে এখন পানিফল। খুবই পুষ্টিকর এই ফল।ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় পানিফল। পানিফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে বলে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালস কমায়। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সের গবেষণায় দেখা গেছে পানিফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। উচ্চ রক্তচাপ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। পানিফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে বলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমায়। রক্তচাপ কমায় পানিফল। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বলে পানিফল হার্টের বন্ধু। পানিফলকে ইংরেজিতে বলা হয় “Water chestnut”লো ক্যালরি ডায়েট অনুসরণ করলে অবশ্যই খান পানিফল। কারণ পানিফলে ক্যালরি থাকে খুবই কম। ১০০ গ্রাম পানিফলে থাকে ৯৭ ক্যালরি।
খুবই কম পরিমাণে ফ্যাট বা চর্বি থাকে। তবে পুষ্টিগুণে ভরপুর পানিফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ পদার্থ।ওজন কমাতে সাহায্য করে পানিফল। লো ক্যালরি আর প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় পানিফল ওজন কমানোর একেবারে পারফেক্ট ডায়েট। ফাইবার থাকায় পানিফল খেলে খাই খাই ভাব কমায়। পানিফল খেলে দীর্ঘক্ষণ পেটে ভরা থাকে। জাঙ্কফুড খেতে ইচ্ছে করে না।স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা কমায়, মুড ভালো রাখে পানিফল। পানিফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬ থাকে। এই হরমোন দুশ্চিন্তা কমাতে আর মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে। রিল্যাক্স থাকলে ঘুম ভালো হয়।হজমের গণ্ডগোল সারায় আর বমি বমি ভাব কমায় পানিফল।
পানিফলের রস পেটের গোলমাল দূর করে।শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে পানিফল। তেষ্টা মেটায় পানিফল। লুজ মোশন সারায় এই ফল। হিট স্ট্রোক আটকায়। জন্ডিস সারায় পানিফল। জন্ডিস হলে শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়। বডি ফ্লুইড কমে যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় পানিফল পাকস্থলীকে ভালো রাখে। ক্যানসার, ক্লান্তি ভাব, ইনসোমনিয়া দূর করে।প্রস্রাবের সংক্রমণ ঠেকাতে পারে পানিফল। ইউরিনারি ব্ল্যাডার থেকে টক্সিন দূর করে। ইউরিনারি ইনফেকশন সারায় পানিফল। শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বা দূষিত পদার্থ দূর করে পানিফল। কাশি, গলা ব্যথা সারায় পানিফল। পানিফল গুঁড়ো করে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাশির সমস্যা দূর করে। এনার্জি বুস্টার হিসাবে কাজ করে পানিফল।
Free Access