স্বাস্থ্য

গরম ভাত ঘি ছাড়া অসম্পূর্ণ! জানেন কি আদেও ঘি স্বাস্থ্যকর কিনা?  

Do you know if adeo ghee is healthy

The Truth of Bengal: গরম গরম ভাত ঘি ছাড়া অসম্পূর্ণ। ঘি, আলু সিদ্ধ, ডাল সিদ্ধ, ডিম ভাজা, কাঁচা পেঁয়াজ, একটি লঙ্কা আর ভাত। বাঙালিদের কাছে এই খাবার অমৃতের সমান। এই খাবার থাকলে আর আলাদা করে মাংস রান্না করার দরকার পড়ে না। ঘি এর গন্ধ পেলেই যেন খিদের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। পায়েস থেকে শুরু করে বিরিয়ানি, সব খাবারের স্বাদ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে খাঁটি ঘি এর। শুধু গন্ধে নয়, ঘি এর পুষ্টিগুণও রয়েছে অনেক। ঘি খেলে শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজের ঘাটতি কখনই হয়না। ঘি শরীরের হাড় মজবুত করে, দেহের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। এমনকি পেশি মজবুত করতেও ঘি খাওয়া ভালো। তাহলে যখন তখন ঘি খাওয়াও আবার শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। সব কিছুই পরিমাণ বুঝে খাওয়া দরকার। তাই ঘি খেলেও তার একটা নিদিষ্ট পরিমাণ আছে।

ঘি এর মধ্যে ধুমাঙ্কের পরিমাণ বেশি হওয়ায় রান্নার ক্ষেত্রে ঘি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু কড়াইতে ঘি দিয়ে যদি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, আর এইদিকে কড়াইতে দেওয়া ঘি থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করেছে তাহলে সেই ঘি দিয়ে আর রান্না করা যাবে না। সেই ঘি দিয়ে রান্না করলে তা আপনার শরীরের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘি অত্যাধিক মাত্রায় গরম করলে পলি আনস্যাচুরেটেড এবং মনো স্যাচুরেটেডর মত ভাল ফ্যাট গুলি অ্যালডিহাইড, হাইড্রোকার্বন এবং হাইড্রোপেরক্সাইডের মতো ক্ষতিক্ষারক ‘ফ্রি র‌্যাডিক্যালে’ পরিণত হয়। ‘ফ্রি র‌্যাডিক্যালে’ একবার দেহের মধ্যে প্রবেশ করলে শারীরিক নানা রোগ এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি হতে পারে আপনার।

Related Articles