
The Truth of Bengal: গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকটি ব্যবসায় বেশ গতি এসেছে। যেখানে পুঁজিও তেমন বিনিয়োগ করতে হয় না। তেমনই সামান্য পরিশ্রম করলেই মেলে দ্রুত সাফল্য। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা যদি খোঁজা যায়, তাহলে তাহলে আপনি এই ৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। আইডিয়া গুলি হল।
১। ই-কমার্সের ব্যবসা: অনেকেই ই-কমার্সের কথা শুনলেই মনে করেন flipkart বা Amazon এর কথা। কিন্তু এই সংস্থাগুলি মূলত মার্কেট প্লেস হিসেবে কাজ করে থাকে। এই ধরণের ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু নিজস্ব ব্যবসার ক্ষেত্রে ছোট ই কমার্স সাইট তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি ক্ষুদ্র পরিসরেও করা সম্ভব। যে কোন নির্দিষ্ট একটা বিষয় বেছে নিয়ে সেই ধরনের পণ্যেই বিক্রি করতে পারেন। ধরা যাক বইয়ের ব্যবসা বা কসমেটিক্স প্রোডাক্ট ইত্যাদি। এছাড়া শুধুমাত্র ইলেকট্রিক গেজেট বিক্রি করার ওয়েবসাইট তৈরি করেও আয় করা যায়।
২। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যে কোনও পণ্য বিপণন এ প্রচারে বড় ভূমিকা নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের প্রমোট করা অথবা ব্যবসার প্রচার ও প্রসার বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যস্ততম ব্যবসায়ী, মডেল, সেলিব্রিটিদেরও সোশ্যাল মিডিয়াগুলি ম্যানেজ করার জন্য দক্ষ ম্যানেজারের প্রয়োজন হয়। এমনকী যে কোনও প্রতিষ্ঠান, যেমন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ প্রয়োজন পড়ে। ফলে অনায়াসে ঘরে বসেই, একাধিক সংস্থার সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ করে বিপুল আয় করা সম্ভব।
৩। ডিজিটাল মার্কেটিং: আগেই বলেছি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা, তেমনই, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ডিজিটাল মার্কিটংও একটি অদ্বিতীয় লোভনীয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অত্যান্ত কম সময়ে দ্রুত সাফল্য পাওয়া যায় এই পেশায়। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়টা একদমই হাল্কা বিষয় নয়। এই বিভাগ প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, নিজেকেও পরিবর্তন করতে হবে, আর সবসময় নতুন কিছু শেখার মানসিকতা থাকতে হবে। এটি শিখে যেমন চাকরি মেলে, তেমনই নিজস্ব কনসালটেন্সি ফার্ম করেও আয় করা যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয় নিয়ে পড়াশুনার জন্য অনলাইনে শেখার জন্য অনেকগুলো মাধ্যম রয়েছে। যে কোনও একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থা থেকে শিখে এই পেশায় সরাসরি যুক্ত হওয়া যায়। বর্তমান সময়ে এক চাহিদা ভালোই রয়েছে।
৪। শেয়ার মার্কেট ব্যবসা: দেশের বহু মানুষ রয়েছে, যাঁরা শেয়ার বাজারে লগ্নি করেন এবং কম সময়ে ও দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি করে বিপুল টাকা রোজগার করেন। প্রত্যেক ব্যবসাতেই যেমন ঝুঁকি রয়েছে, তেমনই শেয়ার মার্কেট ব্যবসাতেও ঝুঁকি রয়েছে। যদিও একটু পড়াশুনা করে আর ধর্য্য করে পর্যবেক্ষণ করতে পারলেই, অত্যন্ত কম সময়ে বিপুল অর্থ রোজগার করা যায়। শেয়ার বাজারের ট্রেডিং লাইসেন্স বের করে, যেমন লগ্নিকারীদের সুপরামর্শ দান করতে পারেন। সেক্ষেত্রে লগ্নিকারীর কাছ থেকে একটা নির্দিষ্ট কমিশন আপনি পাবেন। অর্থাৎ নিজেও লগ্নি করে আয় করতে পারেন বা অন্যকে লগ্নি করতে উৎসাহ দিয়েও আয় করতে পারেন। তবে এই পেশায় আসতে গেলে, প্রথম ভালো কোনও সংস্থার থেকে পড়াশুনা করতে হবে। এবং কমপক্ষে ২ বছর কোনও এজেন্সির অধীনে কাজ করে হাতে কলমে শেখা উচিৎ।
৫। ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ব্যবসা: গত দু তিন দশকে, ইন্টেরিয়র ডেকরেশন পেশার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে, বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা বহুতল আবাসনে থাকেন। তাঁরা ফ্ল্যাট কেনার পরেই, নিজেদের গৃহের অন্দরসজ্জা করিয়ে নেন। নতুন বাড়ি ঘর নির্মাণের পর ভেতরটা কীভাবে সাজানো হবে, তা নিয়ে নানা পরিকল্পনা করেন। এখানেই প্রয়োজন করে একজন ইন্টেরিয়র ডেকরেটরের। শুধুমাত্র বাড়ি নয়. বিভিন্ন অফিস-আদালতে অভ্যন্তরীণ ডিজাইনের কাজ করে থাকেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ব্যবসায়ীরা। এই ব্যবসায় প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে ঘরে বসে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, বিদেশেও কাজ করার সুযোগ মেলে। কারণ বর্তমানে অনলাইন মার্কেট সেই যোগাযোগ ব্যবস্থার রাস্তা খুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন