অতিরিক্ত খাওয়ানোর ফলে মৃত্যু পোষ্য কুকুরের, কারাদণ্ড মহিলার
Overfeeding kills pet dog, jails woman

The Truth Of Bengal: একেই চেহারার গড়ন মোটা তার ওপর খাইয়ে খাইয়ে এতটাই ওজন বেড়ে গেলো হাঁটতে চলতে পারার ক্ষমতা হারিয়েছে তো বটেই,শেষ পরিণতি হল মৃত্যু।এরকমই একটি আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে একটি পোষ্য কুকুরের সাথে। ইতিমধ্যেই পোষ্য মৃত্যুর ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের এক মহিলাকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিল ম্যানুকাউ জেলা আদালত। শুধু কারাদণ্ড দিয়েই থেমে থাকেনি আদালত, সাথে ৭২০ মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছে মহিলাকে। এমনকি তিনি এখন কোনও পোষ্য রাখতে পারবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, পোষ্যের শারীরিক ও মানসিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন মহিলা।
মহিলার পোষ্য কুকুরের নাম ছিল নুগি।২০২১ সালে পুলিশ প্রথম নুগির কথা জানতে পেরে চটজলদি খবর দেয় সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমাল সংগঠনে।খবর পেয়ে তাঁরা এসে দেখেন নুগির স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৪ কিলোগ্রাম ওজন বেড়ে গেছে।নড়াচড়ার ক্ষমতা পর্যন্ত নেই। প্লাস্টিকের উপর বসিয়ে টেনে নিয়ে যেতে হয় নুগিকে। কিন্তু খাওয়াদাওয়ার কোনও কমতি নেই।এসপিসিএ-এর টড ওয়েস্টউড বলেন, “আমরা যত স্থূল চেহারার প্রাণী দেখেছি, তার মধ্যে নুগির ওজন সবচেয়ে বেশি। বিপুল ওজনের কারণে হাঁটতে পারত না বললেই চলে। এই কারণে কষ্টও পেত।’’ টডের কথায়, “দুঃখজনকভাবে আমরা প্রতিদিন এমন অনেক প্রাণী দেখি যাদের ওজন কম, ঠিক মতো খেতে পায় না, অপুষ্টিতে ভুগছে। আমাদের খারাপ লাগে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে বিপুল ওজন, নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই, এমন প্রাণীর দেখা পাওয়াও সমানভাবে যন্ত্রণাদায়ক।’’
ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিমাল সংগঠনের তত্ত্বাবধানে এক মাসে নুগির ওজন ৮.৮ কিলো কমলেও লিভারে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তবে নুগিকে বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করা হলেও শেষমেশ নুগি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। নুগির মৃত্যুকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন টড।একটি বিবৃতিতে এসপিসিএ জানিয়েছে, নুগিকে শুকনো খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন ১০ টুকরো মুরগির মাংস খাওয়ানো হত। যা অনেক বেশি।