NEET বিতর্কের জের, পরীক্ষা আরও স্বচ্ছ করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন কেন্দ্রের
Centre Sets Up Committee To Ensure Transparent Conduct Of Exams

The Truth of Bengal: পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল কেন্দ্র। পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে কী কী সংস্কার ঘটানো যেতে পারে, সেই নিয়ে মতামত জানাবে ওই কমিটি। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে তারা। সেই ভিত্তিতে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাজের ধরনে সংশোধন আনতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কথা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবার সেই কমিটি গঠন হল।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণণের নেতৃত্বে ওই কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ হায়দরাবাদের উপাচার্য বিজে রাও, IIT দিল্লির ডিন অফ স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স আদিত্য মিত্তল, IIT মাদ্রাজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক রামামূর্তি কে। পাশাপাশি, শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্মসচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল, কর্মযোগী ভারতের বোর্ড সদস্য পঙ্কজ বনসল। শনিবার কেন্দ্রের তরফে কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, NTA-র পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে কী কী সংশোধন ঘটানো যায়, সেই সংক্রান্ত নিরাপত্তা সহ আরও অনেক বিষয়ে মতামত দেবে ওই কমিটি।
Ministry of Education constitutes a High-Level Committee of Experts to ensure transparent, smooth and fair conduct of examinations. Committee to make recommendations on Reform in the mechanism of the examination process, improvement in Data Security protocols and structure and… pic.twitter.com/TJ9NqqUJMi
— ANI (@ANI) June 22, 2024
অন্যদিকে, নিট এবং ইউজিসি নেট ঘিরে চলতে থাকা বিতর্কের মধ্যে প্রশ্নফাঁস রুখতে বিশেষ আইন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষায় জালিয়াতি রুখতে কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে এই আইনে। নয়া আইনে বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় কোনও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতির অভিযোগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কমপক্ষে ৩-৫ বছরের কারাদণ্ড এবং সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে ৫-১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্টে পাস করা এই আইনের লক্ষ্য প্রতারণার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান করা। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিদের তিন থেকে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে। দেশে বিভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোখার উদ্দেশ্যেই এই আইনটি আনা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় কোনও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতির অভিযোগে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া শাস্তির বিধান থাকবে। এবার পরীক্ষা স্বচ্ছ করতে এবং নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ল কেন্দ্র।