আন্তর্জাতিক

ড্রোন হামলার মার্কিন বদলা, পণবন্দি মুক্তির আলোচনা অব্যাহত

Talks on release of hostages in retaliation for US drone strikes continue

The Truth Of Bengal: ড্রোন হামলার মার্কিন বদলা পনবন্দী মুক্তির আলোচনাকে ব্যাহত করবে না বলেই আশা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। কাতারের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে তাঁর এই আশার কথা জানান।

সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয় বলে গত রোববার এক বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। এই হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত হন, আহত হয়েছেন ৩৪ জন। গত অক্টোবরে ইসরায়েল-প্যালেস্টাইনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে হামলায় মার্কিন সেনার মৃত্যু। এই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার বদলা নিতে বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। যথাসময়ে হামলার জবাব দেওয়া হবে জানিয়েছেন বাইডেন। তবে কোথায় ও কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি এখনো কিছু স্পষ্ট করেননি। হামলার মার্কিন বদলায় পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়টি ব্যাহত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে পণবন্দিদের মুক্তির আলোচনা ব্যাহত হবেনা বলেই আশা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে তাঁর এই আশার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে কাতারের প্রধানমন্ত্রী কাছে জানতে চাওয়া হয়, জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরান-সমর্থিত জঙ্গিদের ড্রোন হামলার বদলা যদি যুক্তরাষ্ট্র নেয়, তাহলে কি ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার সম্ভাব্য পণবন্দি মুক্তির চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে? জবাবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি আশা করেন, কোনো কিছুই তাদের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন বা প্রক্রিয়াটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না।’ আটলান্টিক কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি বলেন, মার্কিন বদলা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। কোনো না কোনোভাবে তা অবশ্যই আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে। তবে তাঁরা আশা , বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এই হামলায় ১ হাজার ১৪০ জনের মতো নিহত হন। প্রায় ২৪০ জনকে তারা আটক করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে বেশকিছু পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলেও বাকি জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার সহ মধ্যস্থতাকারীরা।

Related Articles