কামদুনি কাণ্ডে বিচারের আশায় দিল্লির পথে মৌসুমী, টুম্পারা, পাশে রাজ্য বিজেপি
হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছেন মৌসুমী, টুম্পা কয়ালরা

The Truth of Bengal: কামদুনি কাণ্ডে, নিম্ন আদালতের রায়ে যেটুকু খুশি হয়েছিলেন এলাকার মানুষ, হাইকোর্টের রায়ে সেই খুশি এক লহমায় বদলে গিয়েছে। কামদুনির দুই প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়াল ফের প্রতিবাদে রাস্তায়। রাজ্যসরকারকে কাঠগড়ায় তুলে ফের একবার রাস্তায় প্রতিবাদীরা।
হাইকোর্টের রায় প্রকাশের পরেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে কামদুনি কাণ্ডের পর উঠে আসা দুই প্রতিবাদী মুখ। মঙ্গলবারই একই বিষয়কে কেন্দ্র করে শহরে জোড়া মিছিলও দেখা যায়। একটিতে নেতৃত্বে ছিলেন মৌসুমী ও টুম্পা, অন্যটি আয়োজন করেছিল বিজেপির মহিলা মোর্চা। তাতে পা মেলায় শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিয়েছেন মৌসুমী, টুম্পা কয়ালরা।
বুধবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের উড়ানে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা তাঁদের। মৌসুমীর দাবি, বুধবারই শীর্ষ আলাদতে স্পেশাল লিভ পিটিশন (এসএলপি) দাখিল করবেন তাঁরা। আইনি সহায়তার জন্য প্রয়াত বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। মৌসুমীর দাবি, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ফাঁসি রদের রায় শোনার পর বিচারব্যবস্থার উপর থেকে তিনি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন, কামদুনি কাণ্ডের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ টুম্পা। শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে হালকা চালে এই মামলা লড়া হয়েছে বলেই মামলার এই পরিণতি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আনসার আলি ও সইফুল আলির ফাঁসির সাজা রদ করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই রায় ঘোষণার পরেই আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদীরা।