ভ্রমণ

উত্তরবঙ্গে নতুন বেড়ানোর ঠিকানা পাশাবং

Tourism of West Bengal

The Truth of Bengal: সারাবছরের ব্যস্ত জীবন থেকে বিরতি পেতে সকলেরই মন চায় । শহর থেকে অনেক দূরে খোলা  আকাশের নিচে বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে ইচ্ছে প্রত্যেক মানুষের । তাই নতুন ঠিকানার খোঁজ এবার দিতেই হচ্ছে।  পাহাড়প্রেমী পর্যটকদের কাছে এবার নতুন ঠিকানা পাশাবং(Pasabong) । যারা  পাহাড়, জঙ্গল ও নদীর তীরে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন , তাঁদের গন্তব্য হতেই পারে পাশাবং।

নদীর কলতান, মেঘ-কুয়াশার লুকোচুরি উপভোগ করতে  একবার অবশ্যই ঘুরে আসতে হবে পাহাড়ি এই ছোট্ট গ্রাম থেকে । এখানে  মুষ্টিমেয় কিছু পরিবারের বাস। যার মধ্যমণি এই গীতখোলা নদী । কালিম্পং জেলার শ্যামাবিয়ং চা বাগান থেকে পাহাড়ি ঝিল নোকদাঁড়া যাওয়ার পথেই রয়েছে পাশাবং। এছাড়া মালবাজার থেকে গরুবাথান-ঝান্ডি হয়ে শ্যামাবিয়ং চা বাগান দিয়ে চলে যাওয়া যায় পাশাবংয়ে। এই পথে দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। লাভা থেকেও শেরপাগাঁও হয়ে চলে আসা যায় পাশাবংয়ে। কালিম্পং থেকে এই এলাকার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।

নানা গাছ-গাছালি শোভার অপরূপ শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। স্থানীয় যুবক পূর্ণ রাই, রোশন রাইরা সম্মিলিতভাবেই এখানে পর্যটক আবাসও গড়ে তুলেছেন। ইতিমধ্যে পর্যটক আবাস চালুও করে দেওয়া হয়েছে। মালবাজারের পর্যটন উদ্যোগী রাজেন প্রধান, পরিবেশপ্রেমী যুবক স্বরূপ মিত্র কর্মকাণ্ডে যাবতীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজেন বাবু জানান, সমবায়ের ধাঁচে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যেতে পারে এই মডেল সর্বত্রই কার্যকরী হবে।

এই হোম স্টে’র পাহাড়ের ঢালে রয়েছে সামাবিয়ং চা বাগান। পাহাড়, জঙ্গলঘেরা এক সুন্দর পরিবেশ। ট্রাকিং করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে বহু দূরে দেখা যাবে শিলিগুড়ি, মালবাজার-সহ ডুয়ার্সকে।  পাশাবং  থেকে খুব কাছেই রয়েছে  লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, ঝান্ডি, নকডারা। সেখানেও আপনি ঘুরে আসতে পাড়েন। কীভাবে যাবেন তাই ভাবছেন তো? হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে পৌঁছে যান জলপাইগুড়ি স্টেশন । কলকাতা থেকে কালিম্পং এর দূরত্ব ৬৪৬ কিমি। ট্রেনে যেতে সময় লাগবে ১২ ঘণ্টা। ট্রেন থেকে নেমে গাড়ি করে পৌঁছে যান কালিম্পং আর কালিম্পং থেকে যে কোন গাড়িতে অনায়াসে পৌঁছতে পাড়েন পাহাড়ি এই গ্রাম পাশাবং থেকে।

 

Related Articles