Truth Of Bengal: প্রচন্ড গরমে খাবার ও জল সংকটে ভুগছে জঙ্গলের মানুষজন। ঠিক সেই পরিস্থিতির মাঝেই বিগত চারদিন ধরে সেখানে চলছে বুনো হাতির তাণ্ডব। ঝাড়খণ্ডের সিমডেগা ও গুমলা জেলা মিলিয়ে হাতির তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা ৭। রবিবারই গুমলা জেলাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতরভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর ৪৫-এর জেমস কুজুর দেরাংধি আম্বাকোনা অরণ্যে গিয়েছিলেন মহুয়া সংগ্রহের কাজে। সেই জঙ্গল লাগোয়া এলাকা থেকেই উদ্ধার হয় তার দেহ রবিবার ভোরে। অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে, অ্যালবার্ট এক্কা বল্কের। জানা যায়, শুড়ে পেঁচিয়ে বছর ৭৩-এর ক্লাইমেট এক্কাকে আছাড় মারে হাতি।
হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে ভর্তি করা হলেও শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পর সেই উন্মত্ত হাতি তাণ্ডব চালায় পাশের গ্রামে। এছাড়াও পঞ্চাশ বছরের অরবিন্দ সিং রাজাওয়াত ভোরবেলা ক্ষেতে কাজ করতে গেলে হাতির হামলার কবলে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বর্তমানে তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও হাতির হামলায় বিকাশ ওদার নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর হয়। এমনকি শুক্রবার সকালে ৪৫ বছরের সিবিয়া সুগান নামের এক ব্যক্তির ও মৃত্যু হয়েছে হাতির আক্রমণে জামাং গ্রামে। গ্রামের মানুষদের দাবি, গুমলা ও সিমডেগা জেলাতে তাণ্ডব চালাতে থাকে দলছুট দুটি বা তিনটি হাতি। ধ্বংস হয় বাড়ি-ঘর। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ায় বন দফতরের তরফ থেকে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে চালানো হয় প্রচার। গ্রামের মানুষজনকে সতর্কবার্তা বনদফতরের। সেইসঙ্গে দ্রুত হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর।
