ইতিহাস আর সৌন্দর্যের মেলবন্ধন! ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক অ্যালবার্ট হল মিউজিয়াম
The combination of history and beauty! Visit the historic Albert Hall Museum

Truth Of Bengal: রাজস্থান মানেই রাজা মহারাজাদের নানা কীর্তির নিদর্শন। রাজপ্রাসাদ থেকে দুর্গ, মন্দির, স্মৃতিসৌধ সবমিলিয়ে রাজস্থান সবসময়ই ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের তালিকায় থাকে। এসব ছাড়াও রাজস্থান ঘোরার জন্যে রয়েছে আরও বেশি কয়েকটি জায়গা। যার মধ্যে অন্যতম জয়পুরের অ্যালবার্ট হল মিউজিয়াম। এটি রাজস্থানের প্রাচীনতম জাদুঘর। জাদুঘরটি আলবার্ট হলের কমপ্লেক্সের ভিতরে অবস্থিত।
জানা যায়, ১৮৭৬ সালে প্রিন্স অফ ওয়েলসের আলবার্ট এডওয়ার্ড আলবার্ট হলের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে স্থপতি স্যামুয়েল সুইন্টন জ্যাকব এই ভবনটি সম্পূর্ণ করেছিলেন। এই জাদুঘর গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোর জুড়ে রয়েছে। জাদুঘরে রয়েছে একাধিক ধাতব শিল্প, মৃৎশিল্প, গহনা, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল, অস্ত্র ও বর্ম, ক্ষুদ্র চিত্রকর্ম, বাদ্যযন্ত্র, মাটির শিল্প, ভাস্কর্য, মার্বেল শিল্প, আসবাবপত্র এবং কাঠের শিল্প, কার্পেট, আন্তর্জাতিক শিল্প, হাতির দাঁত, এবং মুদ্রা ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও রয়েছে অস্ত্র ও বর্ম এর সংগ্রহ। যার মধ্যে রয়েছে তলোয়ার, হিল্ট, বাঘের ছুরি, শিরস্ত্রাণ, জ্যাভলিন, ধনুক এবং তীর, শিব, বোধিসত্ত্ব, রাবনানুগ্রহ মূর্তি সহ চতুর্থ থেকে দশম শতাব্দীর ভাস্কর্য।
পাশাপাশি রয়েছে, নানা অলংকার, গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল গ্যালারী। সেই গ্যালারিতে দেখতে পাবেন নানা পুরানো সাঙ্গানারী প্রিন্ট, কোটাডোরিয়া, বাঁধিশের কাজ, গোটা কাজ, এমব্রয়ডারি এবং জরি। ৩২২-৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মিশরীয় মমি, ফারাওনিক পুরাকীর্তিগুলি আন্তর্জাতিক শিল্প সংগ্রহের অংশ। ব্রিটেন, ইরান, তুরস্ক এবং জাপানের ভিনটেজ মৃৎশিল্পের মাস্টারপিস মৃৎশিল্প সংগ্রহের অংশ। মার্বেল আর্ট গ্যালারিতে ১৯ শতকের জয়পুরের কারিগরদের দ্বারা খোদাই করা ভাস্কর্য রয়েছে। কার্পেট সংগ্রহে ১৯ শতকের কার্পেটও দেখা যায়। গ্যালারি ছাড়াও, অ্যালবার্ট হল জাদুঘরে একটি গ্রন্থাগার ও একটি সংরক্ষণাগার বিভাগ এবং একটি ক্যাফে ও রয়েছে।
অ্যালবার্ট হল মিউজিয়ামে প্রবেশের জন্যে ৪০ টাকা ধার্য করা হয়। তবে বিদেশী পর্যটকদের জন্যে সেই মূল্য ৩০০ টাকা। তবে ৭ বছরের কম বয়সীদের জন্যে সম্পুর্ণ বিনামূল্যে প্রবেশ করা যেতে পারে এই মিউজিয়ামে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পর্যটকদের জন্যে খোলা থাকে এই মিউজিয়াম। তবে আর দেরি না করে পরিবার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গী করে বেরিয়ে পড়ুন রাজস্থানের এই গন্তব্যের উদ্যেশে।