আন্তর্জাতিক

চিকিৎসার অনুমতি নোবেলজয়ী কারাবন্দি নার্গিসকে

Nargis, the Nobel laureate, was granted medical treatment

Truth of Bengal: ইরানে শান্তিতে নোবেলজয়ী কারাবন্দি নার্গিস মোহম্মাদি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ইরানের এই অ্যাক্টিভিস্টের পক্ষে প্রচার চালানো একটি গ্রুপের এ তথ্য জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশন নামের গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নার্গিসের একাধিক শারিরীক সমস্যা রয়েছে। এ জন্য অবশ্যই তাঁকে হাসপাতালে যেতে অস্থায়ী মুক্তি দিতে হবে। তবে অবহেলা এবং বঞ্চনার কারণে নার্গিসের যে স্বাস্থ্যহানি হয়েছে, শুধু হাসপাতালে স্থানান্তর করলেই তার সমাধান হবে না।

৫১ বছর বয়সি নার্গিস মোহাম্মাদি পেশায় লেখক ও প্রথম সারির একজন মানবাধিকারকর্মী, বিশেষ করে ইরানের মহিলাদের প্রতি নানা রকম শোষণ, বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন নার্গিস। নোবেল পুরস্কার পেলেও তাঁকে নরওয়ে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণের অনুমতি দেয়নি দেশটি।

তাই তাঁর যমজ সন্তান, আলি এবং কিয়ানাই মায়ের হয়ে পুরস্কার নিয়েছিলেন। বর্তমানে ইরানের এভিন কারাগারে বন্দি রয়েছেন নার্গিস। এই কারাগারে রাজনৈতিক বন্দি এবং পশ্চিমি ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের রাখা হয়। মহিলাদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা ও মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে কাজ করায় তাঁকে বেশিরভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে।

নার্গিসকে ১৩ বার গ্রেফতার, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি ৩০ মাসের সাজা ভোগ করছেন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে তাকে আরও ১৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৬ আগস্ট এভিন কারাগারের মহিলা ওয়ার্ডে অন্য রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রতিবাদে নার্গিসকে আরও ছয় মাসের জেল হয়েছে।

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি নার্গিস, তবুও কোনওভাবেই পরতে চাননি হিজাব। তাই শাস্তি হিসাবে ইরান সরকার গত বছর বলেছিল, অসুস্থ হলেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে না নার্গিসকে। সূত্রের খবরে জানা যায়, শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে সুচিকিৎসা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছেন তিনি। নার্গিস মোহাম্মাদি হৃদরোগে ভুগছেন। গত সেপ্টেম্বরের মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর হার্টের মূল ধমনীতে গুরুতর জটিলতা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মোহাম্মাদির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে ফ্রি নার্গিস কোয়ালিশন।