দেশরাজ্যের খবর

BLO-দের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে রাজনৈতিক দলেরা! শীর্ষ আদালতে দাবি কমিশনের

তামিলনাড়ুতে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি সময়সীমা ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেন।

Truth Of Bengal: পশ্চিমবঙ্গ-সহ চারটি রাজ্য এনুমারেশন ফর্ম জমা ও ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা ৪ ডিসেম্বরের পর বাড়ানোর আবেদন জানায়। এই আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। আদালত আপাতত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

কমিশনের পক্ষ থেকে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, মোট ফর্মের প্রায় ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ডিজিটাইজ করা হয়েছে এবং কোথাও বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। তিনি বলেন, যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম পাননি, তাঁদের জন্য সাপ্লিমেন্টারি তালিকা তৈরির বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে। কমিশন আরও জানায়, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে বিএলও-দের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি হচ্ছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, কমিশনই নির্দেশ দিচ্ছে। ৪ ডিসেম্বরের সময়সীমা বাস্তবসম্মত নয়। তামিলনাড়ুতে ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি সময়সীমা ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেন। সিব্বল আরও দাবি করেন, বিএলও-দের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গে বহু কর্মী মারা গিয়েছেন।

মামলাকারীর পক্ষ থেকে এনুমারেশন ফর্ম বিষয়টিকে জটিল বলে উল্লেখ করা হলে সুপ্রিম কোর্ট কেরলকে আলাদা করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়। বিহার, তামিলনাড়ু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ—এই চার রাজ্যের মামলা একইসঙ্গে শোনেন বিচারপতিরা। পশ্চিমবঙ্গকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে এনুমারেশন ফর্মের ডিজিটাইজেশনের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন কমিশনের কাছে জানানো হয়েছিল। রাজ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা এলে জেলাশাসকেরা বিএলও-দের ওপর অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি তাঁদের নজরে আনেন। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে স্পষ্ট জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। চার রাজ্যের আবেদন শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।

Related Articles