Rampurhat: রামপুরহাটে ফের আতঙ্ক – একাকী হনুমানের তাণ্ডবে জখম একাধিক ব্যক্তি
আচমকা হামলা, আঁচড় ও কামড়ে জখম হয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা। ফলে পথচলা থেকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া—সবেতেই ভর করেছে উদ্বেগ।
Truth of Bengal: বীরভূমের রামপুরহাটে বহুদিন ধরেই শান্তি নেই স্থানীয়দের। কখনও ধাওয়া, কখনও সামনে পেলেই কামড়—এক উচ্ছৃঙ্খল হনুমানের আক্রমণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। দিনদুয়েক নয়, প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছে ওই হনুমান। আচমকা হামলা, আঁচড় ও কামড়ে জখম হয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা। ফলে পথচলা থেকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া—সবেতেই ভর করেছে উদ্বেগ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। আচমকা সজোরে ধাক্কা মেরে তাকে ফেলে দেয় হনুমানটি। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। শহরের নাগরিকরা জানিয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন আরও কয়েকজন। আতঙ্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কবার্তাও দিয়েছেন আক্রান্তরা।
শহরজুড়েই চলছে তার আনাগোনা—পাঁচমাথা মোড়, কামারপট্টি, আদালত চত্বর… কোথায় যে কখন হাজির হবে, তা বলা দায়। কখনও ঠেলাগাড়ি থেকে ফুচকার আলুর মাখা কেড়ে খাওয়া, কখনও সাইকেল ঠেলে ফেলে চম্পট—এমনই কাণ্ডকারখানা চলছে প্রতিদিন। দুপুরে এক বৃদ্ধ স্কুটি চালিয়ে পাঁচমাথা পার হওয়ার সময় পিছন থেকে লাফিয়ে পড়ে হনুমানটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি ধাক্কা মারে আরেক স্কুটিতে। চায়ের দোকানি মিলন দাসও জখম হয়েছেন সেই ধাক্কায়। গরম চা শরীরে পড়ে ক্ষতও হয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান, হনুমানটি অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
আশঙ্কায় আদালতের আইনজীবীরাও থানায় খবর দেন। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই জায়গা বদলে ফেলে হনুমানটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ—আগে এমন দৃশ্য দেখা যেত না। খাবারের অভাব এবং অবাধ বিচরণই নাকি বাড়িয়েছে সমস্যাকে। শহরবাসীর দাবি—তৎপর হোক বনদফতর, না হলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।






