পিকনিকে হঠাৎ পুলিশ! ভয় নয়, শিশুদের শেখালেন জীবনের জরুরি পাঠ
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রথমে বিস্ময় তৈরি হলেও, খুব দ্রুতই পরিবেশ হয়ে ওঠে স্বচ্ছন্দ ও প্রাণবন্ত।
Bangla Jago Desk: মনিরুল ইসলাম, পূর্ব বর্ধমান: মেলার মধ্যে হঠাৎই পুলিশের দেখা পেয়ে মুহূর্তে বদলে গেল ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশ। প্রথমে কিছুটা বিস্ময়, তারপর কৌতূহল—কেন পুলিশ এল এখানে? কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল, এদিন পুলিশ এসেছে শাসাতে নয়, শেখাতে।পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট এলাকার একটি দামোদর পাড়ায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পিকনিক চলাকালীন হঠাৎই হাজির হন নাদনঘাট থানার আইসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ। সাধারণত পুলিশের উপস্থিতিতে ছোটদের মনে ভয় কাজ করলেও, এদিনের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রথমে বিস্ময় তৈরি হলেও, খুব দ্রুতই পরিবেশ হয়ে ওঠে স্বচ্ছন্দ ও প্রাণবন্ত।পুলিশ আধিকারিকই এদিন হয়ে ওঠেন শিক্ষক। ‘টিচার’-এর ভূমিকায় আইসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ ছাত্রছাত্রীদের সামনে খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেন রাস্তায় চলাফেরার নিয়মকানুন। কীভাবে নিরাপদে রাস্তা পারাপার করতে হয়, ট্রাফিক সিগন্যালের কোন আলো কী নির্দেশ দেয়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে কোন কোন বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়—সবই হাতে-কলমে দেখিয়ে বোঝান তিনি।
এর পাশাপাশি তিনি জানান, নাদনঘাট থানার পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় বাল্যবিবাহ রোধে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ছোট বয়স থেকেই সামাজিক ও আইনি বিষয়ে সচেতন করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও। তাঁদের মতে, ছোটবেলা থেকেই যদি শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তা ও নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়, তবে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ও সামাজিক সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।এখানেই শেষ নয়। ক্লাস নেওয়ার পর ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পাশে বসে খাওয়া-দাওয়া করেন আইসি বিশ্ববন্ধু চট্টরাজ। পুলিশের এই মানবিক ও বন্ধুসুলভ আচরণে আরও উৎসাহিত হয়ে ওঠে শিশুরা। পুলিশের এমন ভূমিকায় এলাকায় প্রশংসার ঝড় উঠেছে।






