Lok Sabha Election 2024: রাজ্যে ১৯-এর থেকে ভাল ফলের আশায় মোদি, দিবাস্বপ্ন বলে কটাক্ষ তৃণমূলের
Lok Sabha Election 2024: Modi, hoping for better results than 19 in the state, is a daydream of Trinamool

The Truth Of Bengal : ফের একবার পাখির চোখ করেবাংলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রবিবার চারটি সভা করার জন্য বাংলা আসেন প্রধানমন্ত্রী নেরেন্দ্র মোদি। প্রথম সভা করেন ব্যারাকপুরের ভাটপাড়ায়। দুর্নীতি ইস্যুতে বাংলার তৃণমূল সরকারকে বিঁধে মোদি দাবি করেন ২০১৯ সালের থেকে এবার বাংলায় ভাল ফল করবে বিজেপি। বিজেপি দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে পাল্টা খোঁচা দেয় রাজ্যের শাসক দল।
রবিবার সকালে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ভাটপাড়ায় সভায় মোদি আশাপ্রকাশ করেন ২০১৯ সালের থেকে এবার আরও বেশি ভাল ফল হবে বিজেপির। এদিন আবার ভাটপাড়ার সভা থেকে বাংলার মানুষের জন্য পাঁচটি গ্যারান্টি দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না। তফসিলি জনজাতির সংরক্ষণ কেউ শেষ করতে পারবে না। রামনবমী পালন করতে, রামের পুজোয় কেউ বাধা দিতে পারবে না। রামমন্দিরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কেউ বদলাতে পারবে না। সিএএ কেউ বন্ধ করতে পারবে না। অন্যান্য সভার মতো এই সভাতেও ধর্মীয় মেরুকরণ উস্কে দিতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘বাংলায় রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূল সরকার। রামনবমী পালন করতে দেয় না। কংগ্রেস আর বামফ্রন্টও রামনবমীর বিরুদ্ধে। এমন লোকজনের হাতে এই মহান দেশ তুলে দেওয়া যায় কি?’
সেই সঙ্গে মোদি অভিযোগ করে বলেন, বাংলায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। তা বরদাস্ত করা হবে না হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মোদি জানান, ‘বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। হিন্দুদের ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এত বড় সাহস! আদিবাসী, দলিতদের সঙ্গে অন্যায় এই দেশ মেনে নেবে না।’
দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূলকে সরকারকে ব্যাপক আক্রমণ করেন মোদি। বলেন, ‘এখানে ওএমআর শিট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে শুধু দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার এই লুঠের পাইপয়সার হিসাব নেব। কাউকে ছাড়া হবে না। বাংলার ভুক্তভোগীদের বলতে চাই, মোদি আছে। দুর্নীতিগ্রস্তরা কেউ বাঁচতে পারবে না।’ সন্দেশখালি প্রসঙ্গে ভাটপাড়ার সভা থেকে মোদি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে, সারা দেশ দেখছে। তৃণমূলের পুলিশ ওদের বাঁচিয়েছে। নতুন খেলা শুরু করেছে। ওদের গুণ্ডা সন্দেশখালির বোনেদের ভয় দেখাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত ১০ বছরে তিনি কী করেছেন দেশের জন্য সেই কথা বলতে সাহস পাচ্ছেন না মোদি। বদলে তিনি বস্তাপচা কথা বলে গেলেন। এই ভাবে তোপ দাগলেন তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। রাজ্যে হিন্দুরা নাকি অত্যাচারিত— মোদির বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, সেইজন্য কি ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিল? সন্দেশখালিতে বিজেপি কী ষড়যন্ত্র করেছিলে তা সব ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সেই কথা নেই মোদির মুখে? পাল্টা প্রশ্ন জয়প্রকাশের।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বার বার উঠে এসেছে ধর্মের প্রসঙ্গ। রামনবমী থেকে শুরু করে হিন্দু-মুসলমান— শব্দ ব্যবহার করে একাধিক কথা বলেছেন। রবিবার রাজ্যে চারটি সভা করতে শনিবার রাতে কলকাতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথম সভা করেন ভাটপাড়ায়। সেখান থেকে চুঁচুড়া, আরামবাগ ও সাঁকরাইলে সভা করার কথা। এই চার কেন্দ্রে পঞ্চম দফায় ভোট আছে আগামী ২০ মে।