মসনদের লড়াইরাজনীতিরাজ্যের খবর
Trending

বালুরঘাটে মমতার চ্যালেঞ্জ, প্রেস্টিজ রাখতে কি প্যাঁচে পড়লো সুকান্ত?

The 2024 election is a prestige fight for BJP state president Sukanta Majumdar.

The Truth Of Bengal: ২০২৪ এর নির্বাচন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। কারন এর আগে জিতে গেলেও চব্বিশে তাঁর চ্যালেঞ্জ কয়েক গুণ বেড়েছে। কারণ এবার লড়াইতে নেমেছেন ভূমিপুত্র বিপ্লব মিত্র। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, হরিরামপুর, তপন, গঙ্গারামপুর, কুশমণ্ডি ও উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার বিধানসভা।৭ বিধানসভাকে বিপ্লব মিত্র হাতের তালুর মত চেনেন বিপ্লব।ভোট বাক্সে জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর জন্য কোনও চেষ্টাই ছাড়ছেন না তিনি।

শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বালুরঘাটে সভা করেন।প্রচারসভা থেকে বিজেপি প্রার্থীর বিগত দিনের কাজের রেকর্ড খতিয়ে দেখার কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কেন সুকান্ত মজুমদার মানুষের কাজ না করে বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখার সওয়াল করেন ? কেন বাংলা থেকে ভোটে জিতে যাওয়া সুকান্ত মজুমদার,শুভেন্দু অধিকারীরা বাংলার সঙ্গে গদ্দারি করছেন ? সেই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি বিরোধী শিবিরের নেত্রী।কারণ কয়েকমাস আগে সুকান্ত মজুমদার বলেন,বিজেপি নেতৃত্ব বললেই বাংলার বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবে কেন্দ্র।অর্থাত্ সুকান্ত স্পষ্ট করেন,রাজনীতির রং বদলালেই বঞ্চনার রাজনীতির অধ্যায়ে ইতি পড়বে।সেই কথার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাঁদের নাম না করে মমতার প্রশ্নবাণ, বাংলা থেকে জিতে কেন বাংলার বিরোধিতা করছেন ?

বাংলা বিরোধী রাজনীতি করা বাংলার বিজেপি নেতাও সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন,পারলে এবার জিতে দেখান। তাতেই সুকান্ত মজুমদারের স্নায়ুর চাপ কয়েকগুণ বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে ডঃ সুকান্ত মজুমদার পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩১৭ আসন। আর, তৃণমূলের   অর্পিতা ঘোষ  পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৬ হাজার  ভোট।ভোটের ব্যবধান ছিল ৩৩হাজারের কাছে।তাই এবার সিএএ-এনআরসি ইস্যু থেকে বাংলার বঞ্চনার মতো জ্বলন্ত বিষয়ও সুকান্ত-র পদে পদে বাধা তৈরি করছে।পদ্মের কাঁটা বিছিয়ে দিচ্ছে আত্রেয়ী নদীর পারে থাকা এই বিস্তীর্ণ জনপদে।কেন কেন্দ্রের সরকারের কাছ থেকে সুকান্ত মজুমদার গঙ্গার মতোই আত্রেয়ীর সংস্কারের টাকা নিয়ে আসতে পারেনি,সেই প্রশ্ন তুলে নদীমাতৃক সভ্যতার প্রতি বিজেপি সরকারের অবজ্ঞা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে ভোটারদের তুলে ধরেন বলা যায়।

 

Related Articles