NASA: ইতিহাসের দোরগোড়ায় মহাকাশ গবেষণা: জেফ বেজোসের সহায়তায় মঙ্গলের পথে নাসার ‘ডবল ধামাকা’
জেফ বেজোসের সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘এসকেপেড’ (Escapade) নামে এক বিশেষ মিশনে দু’টি মহাকাশযান মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
Truth of Bengal: মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। এই প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে মঙ্গল অভিযানের পথে পা বাড়াচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। জেফ বেজোসের সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘এসকেপেড’ (Escapade) নামে এক বিশেষ মিশনে দু’টি মহাকাশযান মঙ্গলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। মঙ্গলবার ভারতীয় সময় রাত ১টা ১৫ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্টেশন থেকে এই জোড়া উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হবে।
এই মিশনে ‘ব্লু’ এবং ‘গোল্ড’ নামে দু’টি মহাকাশযানকে পাঠানো হচ্ছে। এই বিপুল ওজনের উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নিউ গ্লেন রকেট, যা ৩২১ ফুট লম্বা এবং অত্যন্ত ভারী। এই যানের মূল লক্ষ্য হলো মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়ার পরিবর্তন সংক্রান্ত গভীর গবেষণা। এদের কাজ হবে মঙ্গলের চারপাশের পরিবেশকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং লাল গ্রহ সম্পর্কে এমন সব তথ্য সংগ্রহ করা, যা বিজ্ঞানীদের হাতে এখনও আসেনি। মিশনটি সফল হলে মঙ্গল গ্রহের বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে।
এসকেপেড মিশনের এই দু’টি মহাকাশযানের গতিপথ রাখা হয়েছে কিছুটা ভিন্ন। তারা সরাসরি মঙ্গলে পাড়ি দেবে না। প্রথমে তারা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত L2 পয়েন্ট বা ল্যাগারাঞ্জিয়ান পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছবে, যা পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে অবস্থিত। এই বিশেষ স্থানে মহাকাশযান দুটি ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত অবস্থান করবে। এরপর, ২০২৭ সালে তারা মঙ্গলে পৌঁছনোর জন্য চূড়ান্ত যাত্রা শুরু করবে।
সব মিলিয়ে, এই উৎক্ষেপণটির পরে শুধুমাত্র মঙ্গল সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে আসবে তাই নয়, বরং তা ভবিষ্যতের রকেট প্রযুক্তির জন্যও একটা বড় পদক্ষেপ। এই বেসরকারি ও সরকারি উদ্যোগের সমন্বয় মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে নতুন নজির সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।






