
The Truth of Bengal: প্রায় দু সপ্তাহ পার উত্তর কাশীর সুরঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। কবে এই উদ্ধার কার্য শেষ হবে তার দিন গুণছে গোটা দেশ। সুরঙ্গের ভিতরে অগার মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় অনেকটা উদ্ধারকাজ এগিয়ে গেলেও তা থমকে রয়েছে। ঘটনার ৭ দিন পর সুরঙ্গের ভিতর 6 ইঞ্চির লাইফ লাইন পাইপ প্রবেশ করিয়ে ক্যামেরায় দেখা মেলে শ্রমিকদের। এরপর আটকে পড়ার শ্রমিকদের কাছে খাবার জল, পোশাক, ওষুধ যাবতীয় পৌঁছে দেওয়া হয়। অন্যদিকে চলে অগার মেশিনের মাধ্যমে খননকার্য। গার্ড্রেল সামনে চলে আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অগার মেশিন। দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হয় চার দক্ষ শ্রমিককে। এরপরই একদিকে ভার্টিক্যাল ড্রিলিং অন্যদিকে ম্যানুয়াল ড্রিলিং শুরু হয়েছে। রবিবার থেকে গাইতি, সাবল দিয়ে শ্রমিকরা মাটি খননের কাজ শুরু করছে।
৪১ জন শ্রমিককে সুরঙ্গ থেকে বের করে আনার বিকল্প পথ ভার্টিকাল ড্রিলিং। অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলছে মৌসম ভবন। ফলে বৃষ্টি হলে উদ্ধার কাজে আরও বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে বলেই মনে করছে উদ্ধারকারী দল। ভার্টিক্যাল ড্রিলিং মূলত ২০০ মিটার চওড়া অঞ্চলের ৯০ মিটার গভীর খননের পরিকল্পনা রয়েছে। এই ড্রিলিং এর এর সময় যাতে সুরঙ্গের ধ্স না নামে তার জন্য সিমেন্ট দিয়ে বিশেষ ‘প্রটেকশন আমব্রেলা’ তৈরি করা হচ্ছে। উদ্বেগে রয়েছে এই ৪১ জন শ্রমিকের পরিবার।
ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের সঙ্গে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ল্যান্ডলাইন সংযোগ ব্যবস্থা পৌঁছে দিয়েছে বিএসএনএল। কবে সূর্যের আলো দেখতে পাবেন আটকে পড়া এই ৪১ জন শ্রমিক সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে গোটা দেশবাসীর মনে। সূত্রের খবর শ্রমিকদের বার করে আনতে আরও মাস খানেক সময় লাগতে পারে। দফাই দফায় শ্রমিকরা সুরঙ্গ খোঁড়ার কাজ করবে তার জেরে সময় কিছুটা লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আটকে থাকার শ্রমিকদের কাছে যাবতীয় ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারায়, উদ্ধারকার্যে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না আন্তর্জাতিক সুরঙ্গ বিশেষজ্ঞের দল। তারা চাইছে শ্রমিকদের অক্ষত অবস্থায় বাড়িতে ফেরানো, তাতে নিশ্চিত সময় লাগবে।