দিল্লিতে শ্বাসরুদ্ধকর দূষণ! একিউআই ছুঁল ৩৬০
কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের দফতরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর ব্যবস্থা চালু করতে পারে।
Truth Of Bengal: দীপাবলির পর থেকেই দূষণের চাদরে ঢেকে যাচ্ছে রাজধানী দিল্লি। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শীতের আগমনে বায়ুদূষণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। শুক্রবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছুঁয়েছে ৩৬০, যা ‘অতিমাত্রায় খারাপ’ স্তরের অন্তর্গত। বহু এলাকায় একিউআই ৪০১-এরও ওপরে উঠেছে, যা ‘গুরুতর’ দূষণ হিসেবে বিবেচিত।এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করল কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)। দিল্লিতে বর্তমানে জিআরএপি-৩ বলবৎ থাকলেও, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জিআরএপি ৪–এর একাধিক নিয়মও কার্যকর করা হচ্ছে।সিএকিউএম নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লি ও এনসিআরের রাজ্য সরকারগুলোকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে সরকারি, পৌরসভা ও বেসরকারি দফতরের ৫০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন কি না।
কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের দফতরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর ব্যবস্থা চালু করতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিএকিউএম গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি)-এ ব্যাপক সংশোধনী এনেছে। আগে যা জিআরএপি ৩–এ ছিল, তা নামিয়ে আনা হয়েছে জিআরএপি ২-এ। অর্থাৎ একিউআই ৩০১–৪০০ হলেই এ নিয়ম লাগু হবে।আগে জিআরএপি ২–এ ছিল, এখন জিআরএপি-১-এ।অর্থাৎ একিউআই ২০১–৩০০ হলেই শুরু হবে সতর্কতা।সিএকিউএম জানিয়েছে, সংশোধিত তালিকার নিয়মগুলি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে এনসিআরের সব সংস্থাকে।
উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে পাঞ্জাবে ১৬টি, হরিয়ানায় ১১টি,উত্তরপ্রদেশে ১১৫টি এলাকায়ফসলের গোড়া পোড়ানো হয়েছে। সংখ্যাটি যদিও আগের বছরের তুলনায় কম, কিন্তু বাতাসের প্রবাহ উত্তর দিক থেকে হওয়ায় সেই ধোঁয়া পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লি–এনসিআরে। গাড়ির ধোঁয়ার সঙ্গে মিলিত হয়ে তা পরিস্থিতিকে আরও শ্বাসরুদ্ধকর করে তুলছে।দূষণ বাড়তে থাকায় দিল্লি সরকার বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে—নভেম্বর–ডিসেম্বরে নির্ধারিত সব স্কুল-কলেজের আউটডোর অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত থাকবে।
কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট-এর মানদণ্ড অনুযায়ী, এআইকিউ ০–৫০ ‘ভাল’, ৫১–১০০ ‘সন্তোষজনক’, ১০১–২০০ ‘মধ্যম’, ২০১–৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১–৪০০ ‘অতিমাত্রায় খারাপ’, আর ৪০১–৫০০ ‘গুরুতর’ বলে বিবেচিত। শুক্রবার সকালে দিল্লির এআইকিউ ছিল ৩৬০ যা অতিমাত্রায় খারাপ। রাজধানীর বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালা, কাশি ও অস্বস্তিতে ভুগছেন। পরিস্থিতি আরও না-বাড়তে, আগেভাগেই কঠোরতম বিধিনিষেধ প্রয়োগে জোর দিয়েছে সিএকিউএম।






