রাজ্যের খবরস্বাস্থ্য

কিডনিতে পাথর! জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব হল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের বীমা প্রকল্পের দ্বারা

Swasthya Sathi Card Benefits

The Truth of Bengal: কিডনিতে পাথর থাকায় অপারেশনের প্রয়োজন। জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য দরকার হাজার- হাজার টাকা। মাথায় হাত পড়ে শান্তিনিকেতনের মিতালী হাজরার। কারণ অত টাকা আসবে কোথা থেকে? ভেবে পাচ্ছিলেন না। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় রীতিমতো ফ্যাসাদে পড়েন তিনি। জীবন বাঁচায় স্বাস্থ্যসাথী। রাজ্যের বীমা প্রকল্পের সাহায্য নিয়ে সম্ভব হবে অপারেশনের। বুধবার তাঁর অপারেশন, অসম্ভব, সম্ভব হওয়ায়, বাংলার প্রকল্পের সুনাম করছে অভাবী পরিবার।

যাঁরা অসহায়,যাঁদের সামর্থ্য সেভাবে নেই,তাঁদের কাছে স্বাস্থ্যসাথীই আশা ভরসা। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের জন্য বাংলার প্রকল্পই একমাত্র রক্ষাকবচ। সেকথা আরও একবার প্রমাণ মিলল। মাস কয়েক আগে শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটির বাসিন্দা, মিতালী হাজরার কিডনিতে পাথর দেখা যায়। চিকিত্সকরা বলেন,বড় অপারেশন দরকার। আর সেই জটিল অপারেশনের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন,সেটাকা কোথা থেকে আসবে তাই নিয়ে বিশাল চিন্তায় পড়েন মিতালী হাজরা। প্রাথমিকভাবে খরচ প্রয়োজন হয় ৩০ হাজার টাকা। মিতালীদেবীর স্বামী এখন কাজের জন্য বাইরে থাকেন। ফলে পয়সা জোগাড় করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। জীবন বাঁচানোর জন্য তাই রাজ্যের প্রকল্পকেই আঁকড়ে ধরেন তাঁরা। বোলপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দন মণ্ডল তাঁদের পাশে দাঁড়ান। যন্ত্রণা কাতর রোগীকে সুস্থ করে তুলতে এক ঘন্টার মধ্যে তৈরি করে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। তাতেই সুরাহা হয় রোগীর।

বুধবার বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর  অপারেশেনের  কথা। অনটনে ক্লান্ত পরিবারের কাছে স্বাস্থ্যসাথীই ম্যাজিক কার্ড হয়ে উঠেছে।। যার সাহায্যে অসহায় রোগীর জীবন বাঁচানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। ছাপোষা পরিবারের সদস্যের এই জীবন ছন্দ ফিরিয়ে দেওয়ার সরকারি সহায়তা রোগীর পরিজনদেরও সুবিধা করে দিয়েছে। তাঁরাও বলছেন,একসঙ্গে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা জোগাড় করা যেখানে অসম্ভব ছিল সেখানে এই স্বাস্থ্যসাথী সবকিছু সম্ভব করল নিমেষে। শুধু অতসী হাজরাই নন,রাজ্যের ৯ কোটির ওপর এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এখন ক্যান্সার সহ ৭০ ধরণের রোগের চিকিত্সা হয় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। ২০১৬-র ১৭ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় গৃহিত হওয়ার পর জনস্বাস্থ্যের এই কল্যাণকর প্রকল্প চালু হয়। এখন এই স্বাস্থ্যসাথীই কোটি কোটি মানুষের নিশ্চয়তাপত্র হয়ে উঠেছে। রোগীদের নির্ভরযোগ্য এই পরিষেবা প্রকল্প এখন স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে যে বড় সহায়ক তা বলাই যায়।

Related Articles