গঙ্গার জেটিঘাটে মিলবে আধুনিক টার্মিনালের সুবিধা, সৌজন্যে জলপথ পরিবহণ দফতর
Ganga jetty will have modern terminal facilities, courtesy Water Transport Department

The Truth Of Bengal: গঙ্গার জেটিঘাটে এবার থেকে পাবেন বিমানবন্দরের টার্মিনালের মতো সুযোগ সুবিধা। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জলপথ পরিবহণ দফতর। জলপথে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আরও সহজ ও সুগম করতে একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। এই পরিকল্পনারই অংশ হিসাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় গঙ্গার পাঁচটি ঘাটে এই আধুনিক যাত্রী টার্মিনাল গুলি তৈরী হবে। যে ঘাটগুলিতে এই টার্মিনালগুলি তৈরী হবে সেগুলি হল – মিলেনিয়াম পার্ক, হাওড়া, নাজিরগঞ্জ (হাওড়া), পানিহাটি (উত্তর ২৪ পরগনা) ও চুঁচুড়া (হুগলি)। প্রস্তাবিত এই টার্মিনালগুলিতে থাকছে টিকিট কাউন্টার, যাত্রীদের প্রতীক্ষা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা, টয়লেট সহ যাবতীয় পরিষেবা। পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পানীয় জল। থাকছে একাধিক স্টল থেকে কেনাকাটা করার সুযোগ।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে যে, পাঁচটি ঘাটে টার্মিনাল তৈরির জন্য খরচ হতে পারে ২০০ কোটি টাকা। এখন ঘাটগুলিতে সরেজমিনে পরিদর্শন চলছে। টার্মিনাল তৈরির জায়গা নির্দিষ্ট হয়ে গেলে শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে প্রকল্পের ডিপিআর বা ডিটেইলড প্রজেক্ট রিপোর্ট। দফতর সূত্রে জানা গেছে যে, টার্মিনালের জন্য এই পাঁচটি ঘাট বেছে নেওয়ার কারণ হল, সপ্তাহের কর্মদিবসগুলিতে লঞ্চ ধরতে এই সব ঘাটে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পর ওপর লঞ্চের জন্য বহু যাত্রীকে অপেক্ষা করতে হয় ঘাটেই। চড়া রোদ বা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। এই সমস্ত যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই সরকারের এই উদ্যোগ। এর পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা রয়েছে গঙ্গার দুই পাড়ের ৪৪ টি ঘাটেরও। এই ঘাটগুলিতে সৌন্দর্যায়নের অংশ হিসাবে থাকবে গঙ্গার পাড়ে বসার জায়গা, গঙ্গাস্নানের সুব্যবস্থা, বাচ্ছাদের জন্য পার্ক ইত্যাদি। প্রত্যেকটি ঘাটের জন্য ১৫-১৬ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্কের অর্থ সাহায্যেই রূপায়ন করা হবে এই দুটি প্রকল্পের।
ইতিমধ্যেই গঙ্গার দুই পাড়ে হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগণার নানা ঘাটে ভাসমান জেটি করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত ভিড় বেড়ে চলেছে পানিহাটি, ব্যারাকপুরের ধোবিঘাট, মনিরামপুর, নবাবগঞ্জ, নৈহাটী প্রভৃতি ঘাটে। ঘাটের সৌন্দর্যায়ন ও জলযানের পরিষেবা নিয়মিত হলে বহু মানুষ এটাকে যাতায়াতের বিকল্প মাধ্যম হিসাবে বেছে নেবেন বলে আশাবাদী জলপথ পরিবহণ দফতর।