উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৭ বছর আগেই ধরা পড়বে এই রোগ, যুগান্তকারী আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
This disease will be caught 7 years before symptoms appear

The Truth of Bengal: পার্কিনসন্স রোগ বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ এক ধরনের নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ। ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তি চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েন, স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। সামান্য রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই এবার উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৭ বছর আগেই ধরা পড়বে ভবিষ্যতে পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার গোয়েটিনজেনের বিজ্ঞানীরা মিলে এমন এক সোজা সরল রক্ত পরীক্ষার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যার সাহায্যে ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগ করে উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেভাগেই বোঝা যাবে পার্কিনসন্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তথ্য অনুযায়ী, বছরে প্রায় ১ কোটি মানুষ এই স্নায়ুঘটিত রোগে আক্রান্ত হন। মস্তিষ্কের মধ্যে সাবস্টেনশিয়া নাইগ্রা নামে একটি জায়গা থাকে যা চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে। পার্কিনসন্স রোগে দীর্ঘ সময় ধরে রোগীর মস্তিষ্কের এই জায়গার স্নায়ুর কোষ শুকিয়ে যায়। আলফা-সাইনিউক্লিন নামে এক রকমের প্রোটিন জমা হতে থাকে যার ফলে স্নায়ুর কোষ শুকিয়ে যায় ও কার্যকারিতা হারায়। নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন নিঃসরণ করতে পারে না। এখন পার্কিনসন্স রোগীদের ডোপামিন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়।
এতে নানান রকম উপসর্গ দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা ৮টি ব্লাড বেসড বায়োমার্কারের কনসেনট্রেশন হেরফের করে মেশিন লার্নিং নামক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে রোগ নির্ণয় পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। ৭২ জন র্যাপিড আই মুভমেন্ট বিহেভিয়ার ডিজঅর্ডার নামক মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর রক্তের পরীক্ষা করে জানা যায় ৭৫-৮০% রোগীর ভবিষ্যতে পার্কিনসন্স সহ মস্তিষ্কের নানান রকম রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ৭৯% রোগীর শরীরে পার্কিনসন্স রোগের উপসর্গ দেখা গেছে। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে Nature Communications নামক জার্নালে।