কলকাতা

ভবানীপুরের ওষুধ ব্যবসায়ী খুন, তদন্তে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য

Brutal murder of businessman in Bhavanipur

The Truth of Bengal: ভবানীপুরের ওষুধ ব্যবসায়ী খুন। বুধবার বস্তাবন্দি দেহ মেলে বছর ৪৫-র ভব্য লখানির।নিমতা এলাকা থেকেই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান,সোমবার দুপুর ১টা থেকে ৩টের মধ্যে খুন হন ভব্য লখানি। ব্যবসায়িক মিটিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে ঠাণ্ডা মাথায় তাঁকে খুন করা হয় বলে সন্দেহ। যেহেতু সেই মিটিংয়ে ডাকা হয় ব্যবসায়িক সহযোগীর নামে। তাই তাকে স্ক্যানারে আনে পুলিশ। পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে নানা চা়ঞ্চল্যকর তথ্য।মত্ত অবস্থায় ভব্য লখানিকে উইকেট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।মারের চোটে তিনি পড়ে যান। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে যান। তথন মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাবাহিকভাবে তাঁকে আঘাত করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাট করতে  ব্যবসায়ীর রক্তমাখা জামা সহ যাবতীয় পোশাক নিমতার একটি ধাপায় ফেলে আসা হয়। তাঁর স্ত্রী নেহা লখানি থানায় অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগর ভিত্তিতে বুধবার নিমতার একটি বাড়ি থেকে ভবানীপুরের ওই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।

নিমতা ও বালিগঞ্জ থানা যৌথভাবেই সত্য সন্ধানে নেমেছে। অভিযোগ, খুনের পর দেহ বস্তাবন্দি করে জলের ট্যাঙ্কের নীচে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। তার পর রাতারাতি তার উপর পাঁচিল তুলে দেন অভিযুক্তেরা।সেই ঘটনায় সহযোগী অনির্বাণ গুপ্ত সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পরিবারের পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই স্বজনহারানো ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ তারিখ এই ভব্য লখানি ব্যবসায়ী পার্টনার অনির্বাণ গুপ্তকে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য যায়।তিনি  নিমতার বাড়িতে ডেকে পাঠান। আলোচনার সময় বচসা সৃষ্টি হয় এবং তখনই তাকে মাথায় উইকেট দিয়ে মেরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

দেহ লোপাট এর জন্য ওই ব্যবসায়ির দেহ প্লাস্টিকের মুড়ে অনির্বাণ গুপ্তার বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে সেই ট্যাংকেই রাখা হয়।মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, ভব্যকে অপহরণ করে খুন করে হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এক জন স্বীকার করেছেন, সংজ্ঞা হারিয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করতেও একের পর এক আঘাত করা হয়।পুলিশ এই পূর্ব পরিকল্পিত খুনের কিনারা করতে তত্পরতা বাড়িযেছে।রাজ্যে কোনওরকম ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা হলেই প্রশাসন কড়া হাতে তার মোকাবিলা করে। রাফ এণ্ড টাফ মুখ্যমন্ত্রীও পুলিশকে ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে অপরাধ দমনে বদ্ধপরিকর। শিল্পও বাণিজ্য মহলকে আশ্বস্ত করতে প্রশাসনিক প্রধান যেভাবে বারবার ভূমিকা পালন করছেন তা বেশ প্রশংসনীয়। আইনের শাসন রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রীর সংবেদনশীলতা সবমহলের আস্থা য়ে বাড়াচ্ছে তাও বলাই যায়।

Related Articles