সুস্মিতার অন্তিম বোধদয়, দুর্বল চিত্রনাট্যে অসফল ‘আর্যা’
'Aarya' failed due to weak screenplay

The Truth Of Bengal : সুস্মিতা সেনের আর্যা সিরিজটি জনপ্রিয়তার চূড়ায় থাকলেও এই সিরিজটিতে ধারাবাহিকতার অভাব চোখে পড়ে। প্রথম সিজ়নে সুস্মিতার চরিত্রের মধ্যে যে যৌক্তিকতা ছিল। তা দ্বিতীয় সিজ়ন থেকেই তা উধাও হয়ে যায়। তার পরিবর্তে সন্তানদের বাঁচাতে সে ড্রাগ মাফিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক প্রতিপক্ষ আসে এবং তাঁর ‘প্ল্যান’এ বিফলে যায়। আবার তৃতীয় সিজনের প্রথম পর্বে উদয় হয় সারিনের প্রতিপক্ষ সুরজ রায়জাদার ওরফে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ঘটনাচক্রে সেও সারিনের গুলিতে নিহত হয়। আর সিরিজের একদম অন্তিমপর্বে উঠে আসে নলিনী সাহিবা ও আর্যা সারিনের ক্ষমতা দখলের লড়াই।
শেষপর্বটিতেও প্রতিপক্ষর শেষ অবস্থা কী হয়, তা অনুমেয়। কিন্তু আর্যার কী হয়? তার তিন সন্তান যে মানসিক টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তারা কি সেগুলো থেকে বেরোতে পারে? বাইরের শত্রুর সঙ্গে লড়াই করা সোজা। কিন্তু ঘরের মানুষই যদি বিপক্ষে গিয়ে দাঁড়ায়, তখন সবচেয়ে বেশি অসহায় লাগে। তৃতীয় সিজ়নের ভাল লাগার দিক বলতে এটাই। আর্যার তিন সন্তানই ক্রমশ মায়ের বিপক্ষে চলে যেতে থাকে। সেই অসহায়তার দৃশ্যে ক্ষোভ, কান্নায় ভেঙে পড়া আরিয়া বাস্তবের অনেক কাছাকাছি। বাদবাকি অংশ স্রেফ থোড় বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোড়।
ফলে সিরিজের টানটান গতিতে ধাক্কা খায়। এবং পর্বগুলি হয়ে ওঠে অন্তত্য ফিকে। এই সিরিজের প্রাপ্তি বলতে শুধু সুস্মিতার অভিনয়। ফের অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন তিনি। সুস্মিতা ছাড়াও বিকাশ ও মায়া দু’জনের অভিনয়ই প্রশংসার দাবি রাখে। শেষপর্যন্ত, প্রতিশ্রুতি দেওয়া ভাঙার খেলার পাশাপাশি প্রতিহিংসা পরায়ণতা বেশি করে চোখে পড়ে এই সিরিজে। এর মধ্যে আশার আলো একটাই যে সারিনের বোধদয়ের মধ্যে দিয়ে যবনিকা পতন হল আর্যার।
FREE ACCESS