
The Truth of Bengal: এখন ভোট-হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়। এলাকা শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এমন অবস্থায় ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল সেখানকার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। শুক্রবার সকালে ভাঙড় যাওয়ার পথে নিউটাউনের হাতিশালা ৬ লেন-এর কাছে নওশাদের পথ আটকায় বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশ। পুলিশ বাধা পেয়ে দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বসে থাকেন নওশাদ। ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই ওই এলাকায় নওশাদকে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তিনি এলাকার বিধায়ক, তাই তাঁর সেখানে যাওয়ায় তাঁর কোনও বাধা থাকতে পারে না। এই নিয়ে তিনি পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বার বার সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে।
গত মঙ্গলবার গণনার দিনও প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। কাঁঠালিয়ায় গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। তাঁদের মধ্যে দু’জন ছিলেন আইএসএফ কর্মী। একজন সাধারণ গ্রামবাসী। গণনার দিনের পর বৃহস্পতিবারও অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়ে। বৃহস্পতিবার চকমরিচা গ্রামে আইএসএফের ঘাঁটিতেই দিনে দুপুরে বোমা ফেটে জখম হন আইএসএফের চার সমর্থক। এই আবহে শুক্রবার ভাঙড় যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন নওশাদ। ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি আছে। এদিকে আবার বিধাননগর এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত ভাঙড়। তাই বিধাননগর থেকে ভাঙড়ে যাওয়া সমস্ত গাড়িতে চলছে নাকা চেকিং। তাই নওশাদকে আটকে দেওয়া হয় বলে দাবি পুলিশের।
নওশাদ সিদ্দিকীর নিজের বিধানসভা এলাকায় যাওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদের মাঝে শুক্রবার চকমরিচা গ্রামে বোমা বিস্ফোরণস্থল তদতে আসে ফরেনসিক দলের সদস্যরা। বারুইপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ফরেনসিক দলের কর্মীরা আসেন রফিকের বাড়িতে। বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে তাঁরা। বৃহস্পতিবার আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চালতাবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমরিচা গ্রাম। সেখানেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম হন চারজন। আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যকেই আইএসএফ দলের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে।