রাজ্যের খবর

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের যুদ্ধকালীন তত্পরতা

Wartime readiness to implement the Ghatal Master Plan

Truth Of Bengal: রাজ্য সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য ৫০০কোটি টাকা বরাদ্দ করতেই প্রশাসনিক তত্পরতা বেড়েছে।শুরু হয়ে গেছে স্লুইসগেটে কাজ। প্রশাসনিক পর্যায়ে বৈঠক করেছে সাব-কমিটি। রবিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক রয়েছে।সেখানে হাজির থাকবেন সাংসদ দেব সহ প্রশাসনের কর্তারা।বানভাসি মানুষের মতোই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান যৌথ সংগ্রাম কমিটি কাজের অগ্রগতি দেখে বেশ খুশি।

১৯৫৯ সালে নেহরু সরকারের তৈরি কমিটি বন্যা কবলিত ঘাটাল পরিদর্শন করে। ১৯৭৯ সালে জনতা সরকারের আমলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। ১৯৮২ সালে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পের শিলান্যাস হয়। ২০০৯ সালে পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাম সরকার। আর ২০১৫-তে প্রকল্প রিপোর্টে সবুজ সঙ্কেত দেয় মোদি সরকার। কিন্তু তারপর ১০বছর কেটে গেলেও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে একটাকাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মাঝে কথা দিয়ে কথা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬-এর রাজ্য বাজেটে বহু প্রতিক্ষিত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে ৫০০কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।রাজ্যের সেই ঘোষণার পরই প্রশাসনিক স্তরে যুদ্ধকালীন তত্পরতা শুরু করেছে।বৃহস্পতিবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রশাসনিক পর্যায়ের সাব-কমিটির মিটিং হয়।

মিলন মঞ্চে দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির ও ঘাটাল মহকুমা শাসকের প্রগতি সভাকক্ষে পৃথকভাবে দু’টি মনিটরিং মিটিং হয়। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস  জানান, দাসপুর-১ ও দাসপুর-২ ব্লককে নিয়ে এবং ঘাটাল ব্লক, চন্দ্রকোণা-১ ব্লক এবং ঘাটাল পুরসভাকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মিটিংয়ে মহকুমা শাসক ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সেচ ও জলপথ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম হাজরা, সেচ দফতরের ঘাটাল মহকুমার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, বিডিও হাজির ছিলেন।

বহু প্রতীক্ষিত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার স্থায়ী বন্যারোধের প্রকল্প ঘাটাল মাস্টার প্লানে রাজ্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন  ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এই ধরনের মেগা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার কোন অর্থ বরাদ্দ না করায় তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি।তাই দলমত নির্বিশেষে ঘাটালের বানভাসি মানুষ বাংলার সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন।

Related Articles