আন্তর্জাতিক

এবার কূটনীতির ময়দানে মাস্ক! থামবে ইরান-আমেরিকা সংঘাত?

Now masks are in the diplomatic arena! Will the Iran-US conflict stop?

Truth Of Bengal: ট্রাম্প ২.০ প্রশাসনে যোগ দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। কদিন আগেই এই কথা জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি-র শীর্ষকর্তা হিসেবে মাস্ককে বেছে নিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা।

আর এবার সরাসরি কূটনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। লক্ষ্য, ইরান-আমেরিকার সংঘাত থামানো। দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক করতে পদক্ষেপও করলেন টেসলা-কর্তা।

আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সইদ ইরাভানির সঙ্গে বৈঠক করেন মাস্ক। দেড় ঘণ্টার সেই আলোচনায় ঠিক কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে, মনে করা হচ্ছে কীভাবে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের দীর্ঘ সংঘাতে ইতি টানা যায়, সে নিয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে দুজনের।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথমবার আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর ২০২০-র জানুয়ারিতে ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। চুপ করে থাকেনি ইরানও। মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে পাল্টা রকেট হামলা চলেছিল। সেই থেকেই দুদেশের মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়েছে। এবার সেই সংঘাত থামাতেই মাঠে মাস্ক।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের হয়ে দাপিয়ে প্রচার করেছিলেন ইলন মাস্ক। বরাবরই রিপাবলিকান সমর্থক তিনি ৷ সেই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভক্তও৷ প্রচারের কাজে লক্ষ লক্ষ মার্কিন ডলারও খরচ করেছেন মাস্ক৷ পাশাপাশি, ট্রাম্পের মনোবল বাড়াতে এক্স হ্যান্ডেলে একের পর এক পোস্টও করেন তিনি ৷ আবার প্রচারে বেড়িয়ে ইলন মাস্ককে ‘মহান’ বলে অভিহিত করতে শোনা গিয়েছে ট্রাম্পকে৷

তবে, প্রযুক্তির মতো কূটনীতির খেলাতেও কি ছক্কা হাঁকাতে পারবেন ইলন মাস্ক? সেদিকেই নজর বিভিন্ন মহলের।

Related Articles