রাজ্যের খবর

কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ‘ঘাড় ধাক্কা’ প্রসঙ্গে কী বললেল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?

What did Chandrima Bhattacharya say about 'neck shock' in the meeting of Chief Minister-junior doctors in Kalighat?

Truth Of Bengal : আরজি কর কাণ্ড নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, “RG KAR ঘটনা ধিক্কার জানাই। আমরা চাই অপরাধী শাস্তি পাক। এখন এটা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে। আন্দোলনকে সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্টের কথাকে মান্যতা দিয়ে সামঞ্জস্যতায় বসতে চেয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনকারীদের একটা চিঠি দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী সময় দেন ৬-৯ পর্যন্ত। তারা দাঁড়িয়ে যান। কিন্ত তারা সাড়া দেননি। সবাই যখন বেরিয়ে যাচ্ছে তখন তারা আলোচনা করতে চেয়েছেন তাই আর হয়নি।

এরপর চন্দ্রিমা আরও বলেন, “৯ আগস্ট একটি মেয়ে খুব ন্যক্কারজনকভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল এবং তাঁর মৃত্যুও হয়েছিল। সেই ৯ আগস্টের পর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করেছেন। কর্মবিরতি ও করছে, আমরা মাননীয়া নির্দেশ মতো রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নিচ্ছি”।

গতকাল কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা সাংবাদিক সম্মেলন বলেন, ” আমি এই ধরনের কথা কখনও ব্যবহার করি না। এমনকি নিজের বাড়িতেও এই ধরনের কথা বলি না। সবাই জানেন। যেখানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন সেখানে আমি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেব এটা বলা যায়না। এমন মন্তব্য আমি ভুল করে হলেও বলি না। ওরা আমার ছেলের মত, আমি কেন তাদের ঘাড় ধাক্কা দেব? আমি বলেছিলাম ৩ ঘণ্টা হয়ে গেছে তাই আমরা চলে যাচ্ছি। এই কথাকে কেউ ভুলে বাড়িয়ে বলে ফেলতেই পারে। ওরা ছোট বাচ্চা ওরা একটু ভুলে বলে ফেলতেই পারে। তাতে আমি কিছু মনে করিনি”।

শনিবার সন্ধেবেলা সেসময় বৃষ্টি পড়ছিল অঝোরে। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড় ডাক্তাররা নিজেরা আলোচনার জন্য সময় নিচ্ছিলেন বলে জানান চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়, ”লাইভ বা তাঁদের ভিডিওগ্রাফি নিয়ে যা যা সমস্যা, তা বোঝানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বেরিয়ে এসে তাঁদের বোঝান যে প্রতিটি মিনিট রেকর্ড করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের ভিজতে দেখে বলেন যে ভিতরে আসতে, চা খেয়ে যেতে। তাঁরা কোনও কথাই শোনেননি।”

সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রিমা বলেন, ”আমরা যখন বেরচ্ছি, তখন তাঁরা এসে বলল, এখন বৈঠক করতে চায়। মুখ্যসচিব বললেন, এখন তো ৯টা বেজে গিয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে। আপনারা আজ বাড়ি চলে যান। পরে আমরা একদিন বসব।”

Related Articles