রোগীদের স্বস্তি দিতে শেড,রোদ-বৃষ্টিতে মিলবে রেহাই
Shed has been constructed in Baruipur Hospital

The Truth of Bengal: বারুইপুর হাসপাতালে তৈরি হল শেড। স্থানীয় বিধায়কও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচণ্ড রোদে রোগীও রোগীর পরিজনদের সুবিধার জন্য এই শেড তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। পরিষেবা প্রদানের এই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দেখে খুশি রোগীর পরিবারেরা।
রোগ হলেই আগে জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করা হত। সেই রেফার রোগ কমানোর জন্য জেলা-মহকুমা,ব্লক হাসপাতালের ভোলবদল করা হয়েছে। ২০২৩এ বারুইপুর হাসপাতালের পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ করা হয়।প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়। এক একটি ফ্লোরে ২০ টি করে চারতলা ভবনে মোট ৮০ টি বেডের পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হয়েছে। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন সুন্দরবনের কুলতলি, মৈপীঠ থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুর, জয়নগর, মগরাহাট, ভাঙড়ের মানুষ। চারতলা ভবন নির্মিত হওয়ায় রোগীদের অনেকটাই উপকার হয়েছে। কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়ায় তাঁরা কোথায় দাঁড়াবে তাই নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়।রোগীদের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় থাকার ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে শেড।
বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল যা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যপূর্ণ হাসপাতাল।এই হাসপাতাল কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ার পর হাসপাতালকে আরো কিভাবে উন্নয়ন করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেছে জেলা প্রশাসন। আগে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ছিল যে পুরাতন হাসপাতাল থেকে নতুন হাসপাতালে যেতে হলে অনেকটা সময় লাগত এবংগরমের নাজেহাল হতেন। তাই এই পরিকাঠামোর শ্রীবৃদ্ধি হাওয়ায় সাধারণ রোগীদের সুরাহা হয়েছে বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধিরা। জেলা হাসপাতাল থেকে মহকুমা হাসপাতালে উন্নত পরিকাঠামো আর পর্যাপ্ত চিকিতসক থাকায় আগের মতো আর কলকাতার হাসপাতালে আসতে হয় না রোগীর পরিজনদের।তাঁরা এলাকাতেই চিকিত্সা করানোর সুযোগ পাচ্ছেন।