ন্যাজাট কাণ্ডে তদন্তে বড় সাফল্য, শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ গোলাম হোসেন গ্রেফতার
এর আগে এই ঘটনায় শনিবার পোলেরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তকে।
Truth Of Bengal: ন্যাজাট কাণ্ডে তদন্তে নেমে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম গোলাম হোসেন মোল্লা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ। ফলে সিবিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল, এই দাবিই ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাসনাবাদ থানা এলাকা থেকে গোলাম হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বাড়ি হাটগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুরআঁটি এলাকায়। ধৃতকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, ভোলানাথ ঘোষের দায়ের করা এফআইআরে গোলাম হোসেন মোল্লার নাম নেই। এখনও খোঁজ মেলেনি ঘাতক ট্রাকের চালকেরও। তাঁর সন্ধানে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এর আগে এই ঘটনায় শনিবার পোলেরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তকে। একটি গোপন আস্তানা থেকে তাঁকে ধরা হয়। ধৃত উত্তমও শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। ২০২৪ সালে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার মামলাতেও উত্তম সর্দার গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং বর্তমানে তিনি জামিনে ছিলেন। ভোলানাথ ঘোষকে খুনের ষড়যন্ত্রের মামলায় ফের পুলিশের জালে তিনি। একই দিনে রুহুল কুদ্দুস শেখ নামেও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআই যে মামলা দায়ের করেছে, তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ। গত সপ্তাহে আদালতে যাওয়ার পথে ন্যাজাট থানার বোয়ালমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে ভোলানাথ ঘোষের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গাড়িতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ ও চালক শাহানুর মোল্লা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলে ও চালকের। গুরুতর জখম হন ভোলানাথ ঘোষ। সেই ঘটনার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে—এটি নিছক দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা।এই ঘটনার পর ভোলানাথ ঘোষ শেখ শাহজাহান-সহ তাঁর সহযোগী আট জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের মামলা দায়ের করেন। ক্রমাগত গ্রেফতারিতে সেই অভিযোগই আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।অন্যদিকে, ভোলানাথ ঘোষ ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথা জানিয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন বিবেচনা করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দফায় দফায় ধৃতদের জেরা করে গোটা ঘটনার নেপথ্যের চক্রের খোঁজে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।


