নতুন নীতিতে বেড়েছে স্বচ্ছতা, বালি খাদান থেকে বেড়েছে আয়
Increased income from sand mining

The Truth of Bengal: বালি খাদান থেকে বিপুল রাজস্ব আদায়ের নজির তৈরি হতে চলেছে রাজ্যে। রাজ্য সরকারের নতুন নীতির সুবাদে চলতি ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে এই খাতে রাজ্যের রাজস্ব আদায় এক হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে আশা করছেন নবান্নের কর্তারা। ২০২১ সালের জুলাই মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবৈধ বালির কারবার ও তার কারণে হওয়া পরিবেশের ক্ষতি আটকাতে বালি খাদান সংক্রান্ত নতুন নীতি চালু করেছিলেন। তাতে অবৈধ বালি খাদান অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
আয় বেড়েছে সরকারের। এই নীতি প্রণয়নের আগে বালি খাদান থেকে রাজ্যের বার্ষিক কর আদায় ছিল গড়ে বার্ষিক ১৫০ কোটি টাকা। নতুন নীতিতে খাদানের অনুমতি, নিলাম সহ সমগ্র প্রক্রিয়ায় অনেক স্বচ্ছতা এসেছে। প্রথম অর্থাৎ ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে খাদান থেকে বালি তোলা এবং এবং পরিবহণ খাতে রাজ্য সরকার ৪০০ কোটি টাকার বেশি আয় করে। গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনলাইনে করার পরে এখনও পর্যন্ত ৬০ লাখের বেশি ই-চালান তৈরি করা হয়েছে। খাদান গুলির ওপরে নজরদারি আরও কড়া হয়েছে।
ফলে, রাজ্যে অবৈধভাবে বালি পাচার বন্ধ হয়েছে এবং রাজস্ব আদায় বেড়েছে। নতুন বালি খাদান নীতির আওতায় খাদান নিলাম করে আগামী পাঁচ বছরে ১১০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হবে বলে অনুমান রাজ্য সরকারের। যা ওই খাদানগুলি থেকে প্রাপ্য রয়্যালিটি, সেস ও রাজস্বর থেকে অনেক বেশি। ১১৫৪ হেক্টর এলাকায় বিস্তৃত শতাধিক বালি খাদান নিলাম করার মধ্য দিয়ে এই রাজস্ব আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা।