
The Truth of Bengal: ট্রেনের জানালার ধারে বসে আছেন নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর। রেলপথের পাশ দিয়ে জিপে চেপে গান গাইতে গাইতে এগিয়ে চলেছেন নায়ক রাজেশ খান্না। আরাধনা সিনেমার বিখ্যাত সেই গান আজও একইরকম আছে। ঠিক যে ভাবে নিজের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে টয় ট্রেন। খেলনা ট্রেন হলে কী হবে, এই ট্রেনের টানে গোটা বিশ্বের পর্যটকরা আসেন দার্জিলিং। পাহাড়ি পথে নিস্তব্ধতা ভেঙে কু-ঝিকঝিক করতে করতে ছুটে চলে খেলনা ট্রেন। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথে কুয়াশার চাদর সরিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় দার্জিলিং।
ছোট্ট টয় ট্রেন চা বাগানের মাঝখান দিয়ে যে ভাবে এগিয়ে চলে তার আনন্দ নেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন পর্যটকরা। বহু চেষ্টা করে অনেকেই টিকিট জোগাড় করতে পারেন না। অপেক্ষা করতে হয় তাদের। একবার এই ট্রেনে চাপলে তাঁর অনুভূতি থেকে যায় বহু বছর। কত সিনেমায়ও দৃশ্যায়ন হয়েছে এই টয় ট্রেনের। আরাধনা সিনেমায় সেই বিখ্যাত দৃশ্য আজও ভুলতে পারেনি মানুষ। পাহাড়ি পথে ট্রেন লাইনে বিপর্যয় ঘটলে অনেক সময় বন্ধ রাখা হয় টয় ট্রেন।এখন ভরা বর্ষাকাল। আর সেই বর্ষার জন্য পাহাড়ে এখন পর্যটকদের সংখ্যা কম। তাই চারটি জয় রাইড বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে।
আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দার্জিলিং থেকে ঘুমগামী জয় রাইড। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে ৫২৫৯৪, ৫২৫৯৮ ও ৫২৫৪৪ স্টিম ইঞ্জিন সহ ৫২৫৯৭ ডিজেল ইঞ্জিনের টয় ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণেই দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে যায়। ফলে বেশ ঝুঁকি নিয়েই ট্রেন চালাতে হয়। আবার এই সময় পর্যটক কম থাকায় চাহিদাও অনেকটাই কমে যায়। তাই আপাতত এই চারটি জয় রাইড বাতিল করা হল। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে আগে দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত ১২ জোড়া ট্রয় ট্রেন চলতো। তবে চাহিদা অনুযায়ী তা ১০ টিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। বর্ষার জন্য ফের আরও চারটি ট্রেন কমিয়ে দেওয়া হল। বর্ষা মিটলে আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে দার্জিলিংয়ের বিশ্ব বিখ্যাত টয় ট্রেন।