NRC: ফের রাজ্যের এক বাসিন্দাকে অসম থেকে এনআরসি নোটিস, চাঞ্চল্য কোচবিহারে
একদিকে বঙ্গ বিজেপিকে মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে সভা করে গিয়েছেন।
Truth of Bengal: বাংলার মাটিতে অসম থেকে এনআরসি (NRC) নোটিস অব্যাহত। উত্তমকুমার ব্রজবাসী, অঞ্জলি শীল, নিশিকান্ত দাসের পর এবার সেই নোটিস পেলেন মোমিনা বিবি। কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের বাসিন্দা তিনি। তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে হিমান্ত বিশ্ব শর্মার রাজ্যের ধুবড়িতে। ঘটনায় বেশ ভয় পেয়েছেন মোমিনা বিবি। বেশ আতঙ্কিত তিনি এই মুহূর্তে। এমন ঘটনা ফের ঘটায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা জেলায়।
[আরও পড়ুনঃ Layoff Strategy: কর্মক্ষেত্রে কাটছাঁটের থেকে বাঁচার উপায় কী?]
বছর পেরোলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এখন থেকেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সকল দলই কম-বেশি প্রচার চালু করে দিয়েছে। একদিকে বঙ্গ বিজেপিকে মজবুত করতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে সভা করে গিয়েছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১শে জুলাই সভামঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, এই মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের অন্যান্য নেতাদের নিয়ে ভাষা-মিছিলে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।(NRC)
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/truthofbengal]
যদিও বাঙ্গালীদের, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে, হেনস্তার মোকাবিলা করার পাশাপাশি রাজ্য সরকার লড়াই করছে কেন্দ্রের জারি করা এনআরসি নিয়েও। বর্তমানে বাংলার একাধিক বাসিন্দাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে অসম সরকারের তরফ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে একাধিকবার সরব হয়েছেন। বোলপুরে প্রশাসনিক সভা থেকেও তিনি একহাত নিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব শর্মাকে। পাশাপাশি, দলের নেতাদের বার্তা দিয়েছেন সেই বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ানোর।(NRC)
এই আবহাওয়ার মধ্যেই ফের রাজ্যের এক বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিস পাঠালো অসম সরকার। তিনি ৫৮ বছর বয়সী কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মোমিনা বিবি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এর আগেও আমাকে দুবার এনআরসি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এবার অসম সরকার পাঠিয়েছে এবং ধুবড়িতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। আমার ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড এখানকার। এখানেই বরাবর ভোট দিয়ে এসেছি। অসমে নয়। তবুও কেন যে বারবার নোটিস পাঠানো হচ্ছে।” জানা গিয়েছে যে মোমিনা বিবির জন্ম এবং বিয়ে অসমে হলেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি তুফানগঞ্জের বাসিন্দা। বিয়ের এক বছর পরেই তাঁর স্বামী তাঁকে ডিভোর্স দেন। বর্তমানে তিনি দুই ছেলে ও পুত্রবধূদের সঙ্গে থাকেন।






