অনুপ্রবেশ রুখতে কড়া পুলিশ, বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শাসক-মহলে
Questions about the role of police, BSF in the ruling circles to prevent infiltration

Truth Of Bengal: বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ নিয়ে ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে সমালোচনা। ওপার বাংলার ভারত বিদ্বেষের চিত্র ফুটে উঠছে মাঝেমধ্যেই। ভারতের জাতীয় পতাকাকে পায়ে মুড়িয়ে ভারত দখল করে নেওয়ার মতো হাস্যকর হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি এই মুহূর্তে একটি কূটনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উঠে আসছে আন্তর্জাতিক মহলে। যেখানে ভারতের পণ্য ব্যবহার না করলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ অচল হয়ে পড়বে।
সেখানে কেন বারংবার ভারত বিদ্বেষ তৈরি করছে বাংলাদেশের কিছু উগ্র মৌলবাদীরা। বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিষিদ্ধ জঙ্গিদের ছেড়ে দিয়েছে জেল থেকে। কখনো আবার ভারত বিরোধিতায় বেশি করে উস্কানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করছে ছাত্র সংগঠন কিংবা প্রাক্তন সেনাকর্তাদের মধ্যে দিয়ে।
নদিয়া জেলায় প্রায় ১১০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সীমান্তবর্তী কাঁটাতারের বেড়াজাল। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করেছে বিএসএফ। রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ থেকে যাতে ভারতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিকে চিহ্নিতকরণ করে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক আলোর স্তম্ভ। যেখানে অতি সহজেই নজরদারি রাখা সম্ভব, কিন্তু মাঝেমধ্যেই বিএসএফের নজর এড়িয়ে ঘন কুয়াশাকে হাতিয়ার করে অনায়াসে জেলার সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা।
তাহলে কি সীমান্তে নজরদারিতে ব্যর্থ বিএসএফ, এই প্রশ্নই বারবার তুলছে রাজ্যের শাসক দল। ইতিমধ্যে নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলা ২০০-এর অধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছেস। প্রত্যেকেই দালাল চক্রের মধ্যে দিয়ে আত্মগোপন রেখেছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। পুলিশ চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করে অনুপ্রবেশকারীদের। শুধু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নয় সাথে গ্রেফতার হয়েছে প্রচুর সংখ্যক ভারতীয় দালাল, যারা অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়দাতা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু নদিয়া জেলা নয় অনুপ্রবেশ নিয়ে মাথার ঘাম ছুটেছে অন্যান্য জেলার পুলিশেরও। কখনো কলকাতা, কখনো বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার হচ্ছে একের পর এক অনুপ্রবেশকারী। তাহলে কি রাজ্য-সহ জেলা জুড়ে অতি সংখ্যক জাল বিস্তার করেছে অনুপ্রবেশকারীরা? তবে রাজ্য পুলিশও কিন্তু অনেকটাই সচেতন, পাশাপাশি কড়া নজর রাখছে জেলা পুলিশও।