ভ্রমণরাজ্যের খবর

বর্ষাকালে ঘুরবেন কোথায়? ৩ টি জায়গার সন্ধান দেবো আমরা

Tourism of India

The Truth of Bengal: অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাজ্যে পা রেখেছে বর্ষা। বর্ষার রোম্যান্টিক ওয়েদার মানুষের মনকে নারা দেয়। আর  যাঁরা ঘুরতে পচ্ছন্দ করেন, তাঁদের তো পায়ের তলায় সর্ষে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় এক একটি জায়গার রুপ। সে হতে পারে পাহাড়ি বর্ষার মেঘ, হতে পারে  গভীর  জঙ্গলে ঝিমঝিমিয়ে বৃষ্টির শব্দ, আবার হতে পারে আষাঢ়-শ্রাবণের তরঙ্গময় সমুদ্র। দু’দিনের ছুটি পেলেই আর ভাবনা কিসের, বেড়িয়ে পরুন  নিয়ে । কিন্তু হটাৎ করে যাব বললে কি আর যাওয়া হয়। অল্প দিনের জন্য কোথায় যাবেন, কী ভাবে যাবেন, সে সবের তো  একটা পরিকল্পনা করতে হবে । ছুটি যেহেতু বেশি দিনের নয় তাই  বেশি দূর যাওয়া যাবে না। অল্প ছুটিতে ঘুরে আসা যায় এমন তিনটি জায়গার সন্ধান দেওয়া হল এখানে।

পুরুলিয়া

বর্ষার অপরূপ দৃশ্য দেখতে গেলে , এক বার ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার অতি সুন্দর ড্যাম খয়রাবেড়া থেকে। এই সুন্দর সেচ বাঁধ অযোধ্যা পাহাড়ের  ঢালে  এবং বাগমুন্ডি  বনের মাঝে অবস্থিত। শাল, শিমূল, মহুয়া, আমলকি, পলাশ, পিয়াল, কুল, বেল গাছে ভরা স্থানটির দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে যেন ভরিয়ে দেয়। এই জঙ্গলের মাঝ বরাবর চলে গিয়েছে লাল মাটির রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা ধরে হেঁটে গেলে মন্দ লাগবে না। কাছেই আছে সীতাকুণ্ড, ময়ূর পাহাড়, মার্বেল লেক, বামনি ও টুর্গা ফল্‌স, চড়িদা গ্রাম, আপার ও লোয়ার ড্যাম, মুরগুমা লেক। চাইলে জয়চণ্ডি পাহাড়ে গিয়ে নিতে পারেন পর্বতারোহণ শিক্ষাকেন্দ্র। সৌন্দর্য , নির্মলতা, ও ঘন উদ্ভিদে সজ্জিত এই পুরুলিয়া যেমন পলাশের জন্য বিখ্যাত, তেমনই বর্ষার জন্য।

কিরিবুরু-মেঘাতুবুরু

ওড়িশা এবং ঝাড়খন্ডের পশ্চিম সিংভূম এলাকায় অবস্থিত এই ছোট দু’টি জনপদ।  শোনা যায়, স্থানীয়দের কাছে ‘কিরি’ শব্দের অর্থ হাতি এবং ‘বুরু’ শব্দের অর্থ পাহাড়। আবার  ‘মেঘাতু’ নামটি মেঘ থেকেই এসেছে বলে মনে হয়। পাহাড়ে মেঘ – বৃষ্টির খেলা চলতেই থাকে প্রতিনিয়ত ।  এখানে বিশেষ দর্শনীয়  স্থান তেমন না থাকলেও আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতা ভুলতে পারা যায় না। দু’দিনের ছুটিতে দার্জিলিং ছাড়াও সবুজের রাজত্বে অধিকার করে থাকা ছোট্ট দু’টি পাহাড়ি গ্রামে ঘুরে আসাই যায়।

বগুড়ান জলপাই

সপ্তাহান্তের ছুটিতে সমুদ্রে একঘেয়েমি  দিঘা বা মন্দারমণি না গিয়ে, বর্ষার উত্তাল সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য দেখতে ঘুরে আসতেই পারেন বগুড়ান জলপাই থেকে। এখানকার নিরিবিলি নির্জনতায় ঘেরা  সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই। বগুরান জলপাই থেকে খুব কাছেই রয়েছে জুনপুট, বাঁকিপুট , হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন সেখানে। এছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দিরও রয়েছে খুব কাছেই চাইলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন মন্দির থেকে।

যাবেন কীভাবে?

পুরুলিয়া

হাওড়া থেকে চক্রধরপুর পুর প্যাসেঞ্জার  বা রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ধরে চলে আসুন পুরুলিয়ায় বা বরাভূম স্টেশন।এখান থেকে গাড়িতে প্রায় দেড় – দুই ঘন্টা লাগবে খয়রাবেড়া ড্যাম পৌঁছাতে ।

কিরিবুরু-মেঘাতুবুরু

কলকাতা থেকে কিরিবুরু ও মেঘাহাটুবুরুর দূরত্ব প্রায় চারশো কিলোমিটার। হাওড়া বাস কিংবা ট্রেন ধরে চলে যাবেন টাটানগর। আর গাড়ি করে যেতে হলে জিপিএস অন করে নেবেন। পথের নিঝুম ও শান্ত পরিবেশ দেখতে দেখতে দিব্যি পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে।

বগুড়ান জলপাই

দিঘা যাওয়ার যে কোনও বাসে চড়ে কন্টাই বাস স্ট্যান্ডে নেমে সেখান থেকে অটো বা টোটো ধরে বগুরান জলপাই যেতে সময়  লাগে মাত্র ১৫-২০ মিনিট। হাওড়া থেকে ট্রেনে করে কাঁথি স্টেশনে নেমে সেখান থেকেও বগুরান জলপাই পৌঁছে যাওয়া যায়।

Related Articles