
Truth Of Bengal: কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরর ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হতে চলেছে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব। এই অবস্থায় চাপ বাড়ল কেকেআরের। জানা গিয়েছে, ইংরেজ স্পিনার মইন আলি আইপিএল থেকে নাম তুলে নিয়েছেন। তিনি ভারতে আসবেন না। ব্যক্তিগত কারণে আর আইপিএলে খেলতে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। কেকেআর-এর হয়ে এখনও পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মইন যেহেতু স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার তাই ভারতের মাটিতে তিনি কার্যকরি। বরুণ, নারিনের সঙ্গে মইনের জুটি কার্যকরি ছিল। সেইজন্য এবার কেকেআরকে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারের দিকে ঝুঁকতে হবে।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারে রভমান পাওয়েলকে নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ তিনি চোট পেয়েছেন। তাই সময়মতো রভমান আদৌ সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন কিনা তা নিয়ে থাকছে সংশয়।যদিও কোথায়, কীভাবে চোট লাগল ক্যারিবিয়ান তারকার, তা নিয়ে ধন্দে খোদ নাইট শিবিরই। এই নিয়ে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডারের তরফে কিছু জানান হয়নি। অন্যদিকে বাকি বিদেশি ক্রিকেটারেরা – কুইন্টন ডি’কক, স্পেন্সার জনসন , রহমানউল্লাহ গুরবাজরা বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্র্যাক্টিসে নামতে চলেছে কেকেআর।
উল্লেখ্য, মইন আলির বিকল্প হিসেবে কোন প্লেয়ারকে দলে নেবে কেকেআর তা এখন স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু খেলোয়াড়ের নাম উঠে আসছে। তাদের মধ্যে রয়েছে প্রথমেই রয়োছেন সাকিব আল হাসান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইপিএলের ম্যাচ খেলেন। সেইজন্য ভারতের পিচগুলো চেনেন। তিনি বাঁ হাতি স্পিনারের পাশাপাশি একজন ফিনিশার। তবে বর্তমানে সাকিব পিএসএল খেলা খেলছেন। তাই তাঁকে আদৌ কেকেআর দলে আনতে পারবেন কিনা তা নিয়ে থাকছে সংশয়। দ্বিতীয়ত, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় আদিল রশিদ। তিনি ভারতের মাটিতে সফল খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন।
এ বার আইপিএলের নিলামে তিনি দল পাননি। তাঁর বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। এরপরেই রয়েছেন মুরুগান অশ্বিনের নাম। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইপিএল খেলেছেন। তাঁকে ৩০ লাখ টাকার বেস প্রাইসে তাঁকে নিতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে কেকেআর-এর। এই আবহে কোন খেলোয়াড়কে দলে নেয় কেকেআর সেটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন খেলোয়াড়রা। বলা বাহুল্য, ভারত-পাক সংঘাতের প্রেক্ষিতে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। সেই স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএল আবার শুরু হচ্ছে ১৭ তারিখ থেকে। কিন্তু মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে বিপাকে কেকেআর শিবির। বিদেশি বিভ্রাটে জর্জরিত নাইটরা।