অফবিট

কোথায় আছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানা, যাবেন নাকি

Where is the oldest zoo in the world? Should you go?

Truth Of Bengal: ১) মিশরে ৫ হাজার বছর আগের হিয়েরাকনপোলিস চিড়িয়াখানার খোঁজ মিলেছে। গোটা বিশ্বেই চিড়িয়াখানার ইতিহাস অতি প্রাচীন। প্রকৃতপক্ষে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানা হল বারাকপুরের লাটবাগানের চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয় ১৮০১ সালে। ১৮৫৪ সালে রাজা রাজেন্দ্র মল্লিকের মার্বেল প্যালেসের চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয়। তৎকালীন মাদ্রাজে ১৮৫৫ সালে স্থাপিত হয় পিপলস পার্ক চিড়িয়াখানা। ১৮৫৭ সালে তৈরি হয় ত্রিবান্দ্রাম চিড়িয়াখানা। ১৮৫৩ সালে তৈরি হয় জুনাগড়ের সাক্কারবাগ চিড়িয়াখানা। ১৮৭৩ সালে বোম্বে চিড়িয়াখানা আর ১৮৭৫ সালে আলিপুর চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আলিপুর চিড়িয়াখানা ভারতের সপ্তম প্রাচীন চিড়িয়াখানা।

২) বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো চিড়িয়াখানা হল অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় স্থাপিত Tiergarten Schonbrunn। সম্রাট প্রথম ফ্রাঞ্জের আমলে ১৭৫২ সালে স্থাপিত হয় এই চিড়িয়াখানা। রানি মারিয়া টেরেসার আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় এই চিড়িয়াখানা স্থাপিত হয়। তবে রানির একটি শর্ত ছিল তা হল চিড়িয়াখানায় এমন কোনো প্রাণী রাখা যাবে না যা তাঁর সন্তানদের শিকার করে খেয়ে নেয়। গোটা বিশ্ব থেকে আনা হয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হরিণ আর বাঁদর। এখন এই চিড়িয়াখানায় আছে বাঘ, হাতি, ওরাঙ্গওটান, কোয়ালা, পান্ডা।

৩) বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে পুরোনো চিড়িয়াখানা হল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত মেনাজেরি দ্যু জারদ্যাঁ দেস প্লন্ত। ১৭৯৪ সালে তৈরি হয় এই চিড়িয়াখানা। ১৫০ বছর ধরে এটি প্যারিসের বিখ্যাত বোটানিক্যাল গার্ডেনের তকমা পেয়েছে। ১৭৯৩ সালে এই বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রাণীদের আনা হয়। ১৮২৭ সালে এই চিড়িয়াখানায় আনা হয় বিখ্যাত জিরাফ জারাফাকে। এখন এই চিড়িয়াখানায় বিশালাকৃতির কচ্ছপ, স্নো লেপার্ড, অ্যারাবিয়ান ওরিক্সের মতো বহু বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।

৪) বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় তথা প্রাচীন বৈজ্ঞানিক চিড়িয়াখানা হল লন্ডনের রিজেন্ট পার্কে অবস্থিত জেডএসএল চিড়িয়াখানা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধিকারিক স্যর স্ট্যামফোর্ড র্যাফেলসের ব্রেনচাইলড হল এই চিড়িয়াখানা। ১৮৩৮ সালে এই চিড়িয়াখানার মেয়ে ওরাঙ্গউটান জেনের ওপর গবেষণা চালান চার্লস ডারউইন। তাঁর গবেষণা রূপ পায় অরিজিন অফ স্পিসিস। ৮০০ বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়।

৫) ১৮৩১ সালে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের ফিনিক্স পার্কে তৈরি হয় ডাবলিন জ্যু। বিখ্যাত ইংরেজ স্থপতি ডেসিমাস বার্টন এই চিড়িয়াখানার নকশা তৈরি করেন। বহু বিরল প্রজাতির প্রাণীর কৃত্রিম প্রজনন ঘটানো হয় এখানে।

৬) ১৮৩৫ সালে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় ব্রিস্টল জ্যু। ১৯৫৮ সালে এখানে জন্মায় প্রথম কালো রঙের গন্ডার। ১৯৫৩ সালে এই চিড়িয়াখানায় জন্মায় স্কুইরেল মাঙ্কি। ইউরোপের প্রথম শিম্পাঞ্জির জন্ম হয় এই চিড়িয়াখানায় ১৯৩৪ সালে।

৭) নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে জেরার্ড ওয়েস্টারম্যান, জে ডব্লিউ এইচ ওর্য়েলেম্যান ও জে জে ওয়াইম্যুলারের উদ্যোগে ১৮৩৮ সালে তৈরি হয় আর্টিস আমস্টারডাম রয়্যাল জ্যু। এখানে রয়েছে আমস্টারডামের প্রাচীন গাছ হেইম্যান্স ওক। ১৭৫০ সাল থেকে রয়েছে এই বিশেষ গাছ। ৯০০’র বেশি প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়।

৮) জার্মান রাজা তৃতীয় ফ্রেডরিক উইলিয়ামের উদ্যোগে তৈরি হয় ১৮৪৪ সালে বার্লিন জ্যু। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই চিড়িয়াখানা। মাত্র ৯১টি প্রাণী বাঁচে। ২০ হাজারের বেশি পশুপাখি রয়েছে।

৯) ১৮৫৫ সালে চেন্নাইয়ে স্থাপিত হয় আরিগনার আন্না জ্যুলজিক্যাল পার্ক।