অফবিট

৬০০ বছরের পুরোনো ডুবো শহরের মিলল খোঁজ

Underwater city

The Truth of Bengal,Mou Basu: শহরের বয়স নয় নয় করে ৬০০ বছর। সময় যেন হঠাৎ করেই থমকে গেছে। ৬ শতক পার করা এমনই প্রাচীন এক ডুবো শহরের হদিশ পাওয়া গেছে চিনে। চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশে রয়েছে কিয়ানডাও হ্রদ। সেই হ্রদের শান্ত জলের নীচে রয়েছে প্রাচীন শহর শিচেংয়ের নানান ঐতিহাসিক নিদর্শন। ‘ফাইভ লায়ন মাউন্টেন’ বা ইউ শি পাহাড়ের খুব কাছে অবস্থিত বলে এই হারানো শহরকে লায়ন সিটি বলেও ডাকা হয়। মনে করা হয়, সম্ভবত প্রাচীন চিনের হান সাম্রাজ্য বা টাং সাম্রাজ্যের সময় এই শহর গড়ে ওঠে। আবার কেউ কেউ মনে করেন মিং ও কিং সাম্রাজ্যের সময় এই শহরের বিস্তার ঘটে। কোনো কোনো ঐতিহাসিক মনে করেন চিনা শাসক শি চেন এই শহর গড়ে তোলেন। তাঁর আমলে এই শহর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত ছিল।

কীভাবে ডুবে গেল প্রাচীন জনপদ লায়ন সিটি?

কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় ১৯৫৯ সালে Xin’an জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সময় ইচ্ছাকৃত ভাবে ডুবিয়ে দেওয়া হয় লায়ন সিটিকে। কৃত্রিম ভাবে প্লাবিত করা হয় তবে তার আগে ৩ লাখ শহরবাসীকে অনত্র জায়গায় সরানো হয়। এরপর জন্ম হয় কিয়ানডাও হ্রদের সাংহাই শহর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে কিয়ানডাও হ্রদের ৪০০ মিটার গভীরে রয়েছে লায়ন সিটি। বহু বছর ধরে কোনো খোঁজ ছিল না এই শহরের। সবাই ভুলে গিয়েছিল হারানো শহরকে। ২০০১ সালে পুনরাবিষ্কার করা হয় প্রাচীন জনপদকে। চিন সরকার হ্রদের নীচে অভিযান চালিয়ে হারানো শহরের নানান ঐতিহাসিক নিদর্শনের খুঁজে পায়। তবে জলের গভীরে কম অক্সিজেন ও আলোয় থাকায় ডুবো শহর ভালো রয়েছে। তেমন ক্ষয় হয়নি। ০.২ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ডুবো শহর। লায়ন সিটির রয়েছে ৫টি প্রবেশ পথ, তাতে সিংহ, ড্রাগন, ফিনিক্সের মুখ খোদাই করা রয়েছে। ২৬৫টি আর্চওয়ে রয়েছে। ৬২টি ফুটবল মাঠ ধরে যাবে, এত বড়ো আয়তন লায়ন সিটির। তবে গোটা এলাকায় ডুবো শহর লায়ন সিটিতে কী কী আরও রয়েছে তা এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। এখনো অভিযান চলছে। ২০১৭ সালে ডুবো শহরকে পর্যটন স্থল হিসাবে খুলে দেওয়া হয়।

Related Articles