কলকাতার পাশাপাশি কেন মেট্রো শহরগুলি হয়ে উঠছে হিট আইল্যান্ড, কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জানুন
Why metro cities are becoming heat islands besides Kolkata

The Truth of Bengal,Mou Basu: মে মাস পরলেও শুষ্ক প্রাণান্তকর গরমের হাত থেকে কোনো রেহাই নেই। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪৩ ডিগ্রির আশপাশে। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরুর দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৩৩-৩৭ ডিগ্রির মধ্যে। গ্রামের চেয়ে এখন শহরের তাপমাত্রাই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে দেখা যাচ্ছে এই গরমের মরসুমে। আবহাওয়াবিদদের মতে, মেট্রো শহরগুলি এখন আর্বান হিট আইল্যান্ডে পরিণত হয়েছে। কারণ, শহরে কনক্রিট, অ্যাসফাল্টের মতো নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে বাড়িঘর, বহুতল তৈরি হচ্ছে। এসব নির্মাণ সামগ্রী গরমকে শুষে নেয়। গরমের তাপ খুব ধীরে ধীরে বের করে। ফলে সূর্য অস্ত গেলেও শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামছে না।
সেই অস্বাভাবিক অস্বস্তিকর গরম রয়েই যাচ্ছে। এর পাশাপাশি, শহরাঞ্চলে অস্বাভাবিক হারে গাছপালা কাটা হচ্ছে, এদিক ওদিক সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে গজিয়ে উঠছে বহুতল, জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে, ফলে শহরে প্রাকৃতিক কুলিং সিস্টেম কমছে। এতে আরও বিগড়ে যাচ্ছে হিট আইল্যান্ড পরিস্থিতি। এর পাশাপাশি, শহরাঞ্চলে যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস, কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস, এসি যন্ত্র থেকে নির্গত গ্যাসের জন্যও তাপ বাড়ছে। শহরে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে গড়ে উঠছে বহুতল, বাড়িঘর, বাতাস চলাচল করারও জায়গা নেই। বায়ুদূষণের কারণে বাতাসের গুণমান খুব কম শহরে। তাপ বেরোতে পাচ্ছে না, বায়ুমণ্ডলেই আটকে যাচ্ছে।
মেট্রো শহরে তাপ আটকে পড়ে তাপ দ্বীপ বা হিট আইল্যান্ডে পরিণত হচ্ছে। অন্যদিকে, লাগাতার চলা হিটওয়েভের কারণে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে স্কুল শিক্ষা। প্রায় ডকে উঠছে স্কুল শিক্ষা। বিশেষ করে উত্তর আফ্রিকা ও এশিয়ায় হিটওয়েভের কারণে স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যে’হেতু হিটওয়েভ দীর্ঘায়িত হচ্ছে প্রশাসন আর স্কুল কর্তৃপক্ষ উত্তর খুঁজছে গরমের মধ্যে পড়ুয়াদের স্কুলে এনে পড়াশোনা করানো হবে নাকি বাড়ি থেকে ঠান্ডা পরিস্থিতিতে সুস্থ রেখে অনলাইনে ক্লাস করানো হবে। রাষ্ট্রসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে স্কুলপড়ুয়াদের ১৭% স্কুল শিক্ষা পাচ্ছে না। হিটওয়েভের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।