কলকাতা

কাঠগড়ায় আরজি কর! চিকিৎসা না পেয়ে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

Alleged death of youth without treatment

Truth Of Bengal : বর্তমানে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এখনো অগ্নিগর্ভ ঘোটা দেশ। প্রত্যেকে প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন। প্রত্যেকদিন জেলায় জেলায় হচ্ছে তিলোত্তমা খুনের প্রতিবাদ কর্মসূচি। প্রায় সমস্ত পেশার মানুষেরা নিজেদের মতো করে দফায় দফায় প্রতিবাদে পথে নামছেন। সেই মতোই জুনিয়র থেকে সিনিয়র সমস্ত পদের চিকিৎসকরা প্রতিদিন পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আর এতে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোগীদেরকে নিয়ে ছুটতে হচ্ছে এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল। তবে এই প্রেক্ষাপটে সামনে এলো আরেক মর্মান্তিক ঘটনা।

ডাক্তার নেই! এবার ‘বিনা চিকিত্‍সা’য় প্রাণ গেল ২৪ বছরের এক যুবকের। ফের কাঠগড়ায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ‘পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চলুক’, আর্জি মৃতের পরিবারের। জানা গিয়েছে, হুগলির কোন্নগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই যুবক। একটা নয়, দুই পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় লরি! গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। ঘড়িতে তখন ৯টা। আজ, শুক্রবার সকালে ওই যুবককে নিয়ে আরজি করে পৌছন পরিবারের লোকেরা।

পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, একবার আউটডোর আর এক ইমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। কিন্তু ভর্তি নেওয়া তো দূর, সকাল ৯ থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত পায়ে ব্য়ান্ডেজ বেঁধে ফেলা রাখা হয়েছিল রোগীকে। কোনও চিকিত্‍সা করা হয়নি। এরপর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ‘ডাক্তার নেই। রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যান’। ততক্ষণে প্রবল রক্ত ক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েছেন ওই যুবক। শেষপর্যন্ত বেলা ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে এই ঘটনাটির কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “আরজিকর। দুর্ঘটনায় জখম রোগী পড়ে রইল। ভর্তি হল না। মৃত্যু।  সংবাদমাধ্যম সূত্রে এখনই পাওয়া খবর: আরজিকরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু ২৮ বছর বয়সী যুবকের। কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার। অভিযোগ, সকাল ন’টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত পেশেন্ট পড়েছিল। তারপরও তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। কোন্ননগরে এক্সিডেন্ট হয় ওই যুবকের। দুই পায়ের উপর থেকে লরি চলে যায়। শ্রীরামপুর হসপিটাল এ নিয়ে গেলে সেখান থেকে রেফার করা হয় কলকাতায়। কিন্তু আর জি করেন নিয়ে আসার পরও পরিষেবা মেলেনি। হসপিটালের তরফ থেকে বলা হয় ডাক্তার নেই, রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। ততক্ষণে নাগাড়ে রক্তপাতে ঝিমিয়ে পড়ছিল রোগী। অবশেষে ১২ টার সময় মৃত্যু হয় তাঁর। পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চালু থাকুক, আর্জি পরিবারের লোকেদের”।

Related Articles